নৌকার জয়ের পেছনে যে কারিগর নিরলস কাজ করেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
১১ সভেম্বর বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হলো সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশের বৃহৎ দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। তাদের এই নিরঙ্কুশ বিজয়ের পেছনে যিনি সাংগঠনিক কৌশলে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়েছেন প্রাথীদের বিজয় সুনিশ্চিতে, তিনি হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি দেশের বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক জে আর ওয়াদুদ টিপু। জেলা পর্যায়ে জেলার সভাপতি-সম্পাদকসহ স্থানীয় বোর্ডের সুপারিশে প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠানোর পর মনোনয়ন বোর্ড ও দলীয় সভানেত্রী আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে এই প্রার্থীদের বিজয়ের জন্য সাংগঠনিক যে কৌশলগুলো ধাপে ধাপে নিয়েছেন সেটির জন্য জে আর ওয়াদুদ টিপুকে তৃণমূল নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটাররা ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে ভাষা বীর এম এ ওয়াদুদের পুত্র, শিক্ষামন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু মাসাধিকালব্যাপী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রত্যেক প্রার্থীদের প্রচারণা মনোনয়নপত্র দাখিল দলীয় নির্বাচনে এজেন্টদের সাথে আলোচনা সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীদের পরিচয় তুলে ধরা এবং উপজেলা সকল ইউনিয়নের ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলোকে তুলে ধরবার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। মোট কথা একজন দক্ষ নির্বাচনী মনিটর হিসেবে তার দক্ষতা স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। গত কয়েকদিন তিনি চরম ব্যস্ততায় কাটিয়েছেন। দলীয় সাংগঠনিক এবং বিগত নির্বাচনগুলো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি নৌকার বিজয়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগসহ আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনগুলোকে একাট্টা করে ই¦উনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীদের বিজয় করার বিষয়ে ছিলেন মরিয়া এবং যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী। এতে তিনি শেষ পর্যন্ত নিজেও বিজয়ী হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জে আর ওয়াদুদ টিপুর সাথে কথ্ াহলে তিনি জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি বড় সংগঠন এবং জন্ম থেকেই নির্বাচনমুখী। জয় সুনিশ্চিত করতে তৃণমূল থেকে উপর পর্যন্ত নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ের সুনিশ্চিত করার জন্য দলটি সর্বক্ষেত্রেই তৃণমূলকে প্রাধান্য দেয় এবং এর জন্য সাংগঠনিক দক্ষতা অনস্বীকার্য। তিনি বলেন আমি চেষ্টা করেছি আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সদস্য হিসেবে সবসময় মনে করি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীদের জিততে হলে তাদের নিজেদের যেমন প্রচারণা এবং সাধারন মানুষের ভোটারদের কাছে যাওয়া প্রয়োজন তেমনি যারা আমরা এই নির্বাচনে প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি তাদের সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। আমি চেষ্টা করেছি সবাইকে নিয়ে আমরা আমাদের প্রার্থীদের ভোটের মাধ্যমে আমরা বিজয় নিয়ে আসবো। ইনশাল্লাহ তা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনগুলোতেও আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতা ভাল থাকলে আমরা আমাদের নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, কোনো প্রার্থীকে মনোনীত করে দিয়ে ঘরে বসে থাকলে বিজয় আসে না। তার জন্য শেষ পর্যন্ত প্রার্থীর ভূমিকায় থেকেই কর্মীদের লড়ে যেতে হয়। যা আমি এরকমটাই চেষ্টা করি। আর যারা আমাদের দলের তারাও আশা করব সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply