পাঠ্যবই থেকে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেয়া হয়নি : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
অভিজিত রায় :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নারীদের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ করে দুশাসনকে প্রতিরোধ করতে যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। অপশক্তিকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে যতই বাধাই এসেছে যুব মহিলা লীগ কখনো পিছপা হয়নি। ২০০৮ সালে বিশাল বিজয়ী আমরা পেয়েছি সে বিজয়ে যুব মহিলা লীগের একটি বিরাট ভূমিকা ছিল।
মন্ত্রী পাঠ্য বইয়ে ধর্ম শিক্ষার বিষয়ে বলেন, বয়স অনুযায়ী পাঠ্য বইয়ে ধর্ম শিক্ষা রাখা হয়েছে। ধর্ম শিক্ষা আমাদের মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষার প্রথম ধাপ। বলা হচ্ছে পাঠ্যবই থেকে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা মিথ্যাচার করছে তারা ধর্ম ও শিক্ষা নিয়ে মিথ্যাচার করছে। এ অপপ্রচারকে আমাদের রুখে দাড়াতে হবে। শিক্ষকের মর্যাদা ভুলুন্ঠিত করতে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি অপশক্তি ধর্মের অপব্যাখা দিয়ে শিক্ষকদের অপমান অপদস্ত করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আজকে যেভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে সে কাজে অনুপ্রেরণার কাজটি করছে যুব মহিলা লীগ। কোখাও যুব মহিলা লীগের কর্মকান্ডকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে নিয়ে আসতে পেরেছি কিন্তু এখনো অনেক লোক এ চেতনাকে বিরোধ করে যাচ্ছে। এ অপশক্তিকে রুখতে যুব মহিলা লীগের ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রথম ধর্ম গ্রহণ যিনি করেছিলে তিনি একজন নারী ছিলেন। যিনি প্রথম শহীদ হয়েছিলেন তিনি বিবি খাদিজা, তিনিও একজন নারী ছিলেন। আমরা ধর্ম কখনোই পিছিয়ে দিতে চায় নি। দেশের অর্ধেক নারী সেই নারী সম্পদকে যদি কাজে না লাগানো যায় তাহলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের দেশে এখন সকল ক্ষেত্রে নারীর পদচারণা রয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতেৃত্বে। অপশক্তি বিএনপি-জামাত সকল ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্বের বিরোধী ছিলেন। তারা চেয়েছেন নারীদেরকে পশ্চাদপদ হিসেবে রেখে দিতে।
বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে মহিলা আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মহিলা আওয়ামী লীগকে সাহারা খাতুন, আইভি রহমান নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি করোনার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে বলেন, করোনার প্রাদুর্ভব একটু একটু করে বাড়ছে, তাই আপনারা মাক্স পড়বেন। মাক্স ছাড়া বাসা খেকে বের হবেন না। টিকা নিয়ে থাকলেও মাক্সই আপনাকে সুরক্ষা প্রদান করবে।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বুধবার ৬ জুলাই সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। এছাড়া বিকেলে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ইউসুফ গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট
রনজিৎ রায় চৌধুরী, জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের আহŸায়ক অধ্যাপিকা মাসুদা নুর খান, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহানা জাফর রুমা পাটওয়ারী, জেলা মহিলা লীগ ও জেলা পরিষদের সদস্য আয়েশা রহমান লিলি, জেলা যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি শিল্পী, জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিল্পী মজুমদার, মতলব দক্ষিণ যুব মহিলা লীগের সভাপতি শিউলি আক্তার, কচুয়া যুব মহিলা লীগের সভাপতি রোকেয়া বেগম, মতলব উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি রেনু বেগম, শাহরাস্তি যুব মহিলা লীগের সভাপতি বকুল ও ফরিদগঞ্জ যুব মহিলা লীগের সভাপতি সুলতানা রাজিয়া দ্বীপু।
জেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা আলমের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, সদস্য আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা যুব লীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল।