পুলিশ একা পারবে না, প্রতিবেশীর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে সবার
হাজীগঞ্জে পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি
শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সস্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এমপি বলেছেন, ১৯৭১ ও ৭৫ এর পরাজিত শক্তিরা সম্প্রীতির বিনষ্ট করছে। ধর্মে ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তারা। আমাদের সকল ধর্মের মানুষের এক সঙ্গে সকল সহানুভূতি মানুষে রুখে দাঁড়াতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারা মন্দিরে হামলা করেছে, কারা ইন্ধনদাতা আমরা তাদেরকে চিহিৃত করিছি। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিদেশ বসে দেশের বিরুদ্ধে একটি অপশক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তা স্পষ্ট। তারা ২০১৩, ২০১৪ সালে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। তারাই ধর্মের উপর আঘাত করে ধর্মে ধর্মে বিবাদ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন অপশক্তি আমাদের সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে পারবেনা।
তিনি বলেন, আমরা সম্প্রীতির বাংলাদেশ চেয়েছি, আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশ পেয়েছি। এই জন্যই যুদ্ধ করে স্বাধীন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করেছে। অপশক্তিরা কোন না কোন প্রমান রেখে যান, যার মাধ্যমে আমরা অপশক্তির মানুষগুলো চিনতে পারি। জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আজকে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। তখনই একাত্তর পঁচাত্তরের ঘাতক, তারা আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়। তারা সরকারের অগ্রযাত্রাকে ক্ষুন্ন করতে চায়। একাত্তর পঁচাত্তরের অপশক্তিরা এখনো তৎপর। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মৃত, এখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় তারা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যে প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে, তাদের ঘর-বাড়ি পুড়েছে। এর কারণে আমাদের স্বাধীনতাকে আঘাত করা হয়েছে। আমরা যারা বাঙালি ভাবি, যারা নিজেকে মানুষ বলে দাবি করি, তাহলে আমাদের সবাইকে একসাথে সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। পুলিশতো একা কিছু করতে পারবে না, নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে সবার। প্রতিবেশি আরেক প্রতিবেশির দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা যদি সজাগ থাকি, তাহলে ওই দুষ্কৃতকারীরা পার পাবে না। আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। দুষ্কৃতকারীরা সংঘবদ্ধ হলে আমাদের সংখ্যায় কম। তাই সঠিক সময়, সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, মনে রাখবেন পুলিশ সবাইকে ঘরে ঘরে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়। আমরা সবাই মিলে সবাই সবাইকে মিলেই নিরাপত্তা দিতে হবে। আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশে দাঁড়াতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল, হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাইনুদ্দীন, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান এক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ্য রোটা. আহসান হাবিব অরুন, অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ, হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসদু ইকবাল, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বিসহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।