রহিমানগর বাজারে জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত জায়গায় গড়ে উঠা মার্কেট-দোকান উচ্ছেদ

মানিক ভৌমিক :
কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজারে জেলা পরিষদের জায়গায় ৫টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টি প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দকৃত জায়গা লীজ গ্রহনের পর শর্ত ভঙ্গ করে দ্বিতল ভবন ও ছাদ নির্মান করার অভিযোগে ব্যবসায়ীদের কে ২০১৬ সালে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। উপযুক্ত কারণ দর্শানোর জবাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জেলা পরিষদ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলার রায়ের অনুসারে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হাছানের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হাছান বলেন, ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টি ভাঙ্গা হয়েছে। উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, রাজ হোটেল, আলামিন সুপার মার্কেট, জে.কে শপিং সেন্টার ও আলপনা টেইলার্স। সময় স্বল্পতার কারনে ইসলামিয়া হোটেলের দ্বিতীয়তলা ভাঙ্গা হলেও নিচতালাটি ভাঙ্গা হয়নি। তবে এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন ভবন সংলগ্ন বিদ্যুতের তার থাকায় একটি প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা পড়েনি। বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা পরিষদের সদস্য সালাউদ্দীন ভূইয়া বলেন, অজানা কারণে প্রভাবশালী এক ব্যক্তির মার্কেট ভাঙ্গা পড়েনি। তবে কি কারনে এই ভবনটি ভাঙ্গা পড়েনি এটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গা পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্যরা হাউমাউ করে কাঁদছেন। দীর্ঘ ২যুগের উপরে ব্যবসা করে সংসার পরিচালনা করে আসছেন রহিমানগর বাজারের ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন, মহিবুল্লাহ, খোকন, মোস্তফা ও মনির হোসেন। তারা জানায়, কোন রকম নোটিশ না দিয়ে আমার দোকান ঘরগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। পরিবার নিয়ে আমরা এখন পথে বসার উপক্রম। তারা আরো বলেন, জেলা পরিষদের জায়গায় লীজ নিয়ে ২০১০ সালে এই বাজারের কয়েকজন দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি স্থায়ী ভবন নির্মান মার্কেট ভাড়া দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply