রায়ে সন্তুষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ
‘আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম, আর উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে তার চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটেছে’
চাঁদপুর প্রতিদিন রিপোর্ট :
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের সুযোগে প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা লোপাট চেষ্টা ভেস্তে গেছে বিতর্কিত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানদের। এমনকি জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেও তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো সেলিম খান ও তার দু’ সহযোগীকে এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে স্বচ্ছ এ নেতা শুরু থেকেই তিনি ছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। অনিয়মের বিরুদ্ধে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালও।
আদালতের রায়ের বিষয়ে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আদেশ, নির্দেশ বাস্তবায়নে কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তাই দুর্নীতি আমরা আশ্রয় প্রশ্রয় দিতে পারি না। আমরা দলীয়ভাবে প্রথম থেকেই এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলাম। কারণ, জনগণের এবং রাষ্ট্রের টাকা কিছুসংখ্যক লোক হাতিয়ে নিবে এটি কোন অবস্থাতেই হতে পারে না। আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম আর উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটেছে। এ জন্য আমরা উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। পরবর্তীতে পদক্ষেপ নিবে সরকার।
তিনি বলেন, বিজ্ঞ উচ্চ আদালত বিচার বিশ্লেষণ করে যে রায় দিয়েছেন তার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা আছে। কেউ অন্যায় করে যে সারতে পারে না- এটি তারই একটি দৃষ্টান্ত। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। চাঁদপুরের আপামর জনগণ সন্তুষ্ট। সরকারের বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার একটি ফন্দি-ফিকির করেছিল কিন্তু আদালত এটিকে বন্ধ করে দিয়েছেন। এ জন্য বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই। সঠিক বিচার যে বাংলাদেশে হয়- এটি তার আরেকটি প্রমাণ।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, আমরা যে সত্যের পথে আছি তা আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো। এ জন্য আমরা মহামান্য হাইকোর্টের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কারো অপকর্ম-দুর্নীতির দায় দল নেবে না। আমরা এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থানে যাবো। এমন নানা ধরনের অপকর্ম করে যারা দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, দলের সুনাম নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশের জন্য কাজ করি। জনগণের জন্য কাজ করি, দুর্নীতিমুক্ত থাকি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।