শুদ্ধাচার পুরস্কার গ্রহন করলেন ডিসি অঞ্জনা খান মজলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জনসেবায় সততা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য শুদ্ধাচার পুরষ্কার প্রাপ্ত নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অন্জনা খান মজলিশের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয় । বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস এর কাছ থেকে বুধবার ২১ জুন তিনি এ পুরস্কার গ্রহন করেন। শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতিস্বরুপ রাষ্ট্রীয় তথা জাতীয় পুরস্কার হিসেবে এ পুরস্কার দেয়া হয়। এর আগে তাঁকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।

বুধবার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, , ময়মনসিংহের জেলা মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, শেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, এবং অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২২তম বিসিএস এর এই কর্মকর্তা দীর্ঘ বছর ধরেই ঢাকা চট্রগ্রামসহ মাঠ পর্যায়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেয়ার পর থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং দুই জেলার জেলা প্রশাসক হিসাবে অত্যন্ত সুনাম, সাহস ও দক্ষতার সাথে কাজ করছেন। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্বপালনের আগে তিনি দেড় বছর চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। চাঁদপুরের একমাত্র নারী ডিসি হিসাবে যোগদানের পর থেকেই তিনি সাহসী অনেক কাজ সম্পাদন করেন। তার সাহসী ভূমিকায় চাঁদপুরের ৭০ কিলোমিটার পদ্মা মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জেলা প্রশাসন তথা সরকারের পক্ষে রায় দিয়ে পুরোদমে এই বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। এছাড়া চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের নামে প্রায় পৌনে চার ‘ শ কোটি টাকা লোপাটের হাত থেকে রক্ষা করেন তিনি। সেটিও তার তথা রাষ্ট্রীয় অনড় এবং সঠিক অবস্থানে থাকায় উচ্চ আদালত রাষ্ট্রের পক্ষে রায় প্রদান করে সরকারের বিশাল অর্থ সাশ্রয় করে। এছাড়া তিনি করোনাকালে চাঁদপুরে অনেক মানবিক কাজ সম্পাদন করেন। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক করোনায় পাঠানো খাদ্য সামগ্রী, নগদ অর্থ সর্বশ্রেনিপেশার মানুষের মধ্যে সুষম বন্টন, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভূমি ও ঘর বন্টনসহ অগ্রাধিকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোর পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি উন্নয়ন ও মানবিক কাজ করে গেছেন। এছাড়া তাঁর নিয়মিত গনশুনানিতে হাজারো মানুষ উপকার পেয়েছেন। তার হাতে গড়া চাঁদপুর জেলা প্রশাসনে নান্দনিক বঙ্গবন্ধু কর্নার, ডিসি অফিসের সামনে উদ্যোনকে সুসজ্জিতকরন, দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরি, বড় ষ্টেশনে বঙ্গবন্ধু পার্ক নির্মান, ইলিশ ম্যুরালের সৌন্দর্য বর্ধন, রক্তধারা ও অঙ্গীকার সংস্কার, সহ বিভিন্ন কাজগুলো তিনি নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে করে গেছেন। সব কাজেই ছিলো তাঁর সততার ছাপ।
এদিকে গত বছরের ১ জুন জেলা প্রশাসক হিসাবে তাঁর দ্বিতীয় ষ্টেশন নেত্রকোনা জেলায় যোগদান করার পর থেকে গত এক বছরে সেখানের লাখো মানুষের মন জয় করে নিচ্ছেন। সেখানেও তিনি অনিয়ম দুর্নীতিরোধসহ নানা কাজে একই রকম ভূমিকায়। তার মানবিক সাহসী এবং সততার মাধ্যমে কাজ দেখে নেত্রকোনাবাসীও মুগ্ধ। মাত্র ১ বছরে তিনি সেখানে অনেক কাজ সম্পাদন করেছেন। বিশেষ করে সেখানেও একটি সড়কের ৫৬ কোটি টাকা সরকারের বাঁচিয়েছেন। সেখানে অন্জনা খান মজলিশের নিয়মিত গণ শুনানিতেও সাধারণ জনগন উপকৃত হচ্ছেন।

শেয়ার করুন