সরকারের নানা সাফল্য এবং উদ্যোগ জনগণকে জানাতে গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে : পিআইবি মহাপরিচালক
চাঁদপুরের সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ব্র্যান্ডিং বিষয়ক কর্মশালা
নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঁদপুরের সিনিয়র সাংবাদিক এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিডিয়ার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ব্র্যান্ডিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
এ কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে ডকুমেন্টারি আলোচনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে। তিনি তাঁর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। ১০টি উদ্যোগ হলো- আমার বাড়ি আমার খামার, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। তাঁর আলোচনার প্রেক্ষিতে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেও আলোচনা করা হয় এবং নানা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। বিষয়বস্তুর উপর মূল আলোচক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগের বিষয়ে লিখনির মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্যে সাংবাদিকদের আহŸান জানান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর ওয়াজেদ বলেন, সাংবাদিকদের বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু সব বিষয়ে সাধারণ ধারণা থাকতে হবে। একটা বিষয়ে খুব বেশি সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে, সাংবাদিকদের রিপোর্টিং যেনো কল্পনাপ্রসূত না হয়। একটা অসত্য সংবাদের দ্বারা পুরো সমাজ, জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ স্বরূপ বলেন, অনেক বছর আগে একবার জাতীয় একটি পত্রিকায় একদিন একটা খবর ছাপা হলো, ঢোলকলমি গাছের ছোঁয়ায় দুজন মারা গেছেন। একদিন পর আরেকটি পত্রিকায় একই কারণে সাতজন মারা গেছেন বলে সংবাদ প্রচার হয়। এমন ভীতিকর সংবাদ দেখে সারাদেশে বনবাদাড়ে, রাস্তার পাশে সব জায়গায় ঢোলকলমি গাছ কেটে সব পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেলো যে, সবই গুজব। আর এক গুজবে ঢোলকলমি গাছের মতো ঔষধি গাছ সব ধ্বংস করে ফেলা হলো। তিনি আরো বলেন, সরকারের নানা সাফল্য এবং উদ্যোগের বিষয়ে জনগণকে জানাতে হলে, জনসচেতনতা বাড়াতে হলে গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাপক।
জাফর ওয়াজেদ বলেন, তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ফলে মানুষের চাওয়া, পাওয়া ও জানার চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এই দায়িত্ব গণমাধ্যমের।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার)। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাব এবং চাঁদপুরের সাংবাদিকরা সত্যিই সারাদেশে মডেল। করোনা দুর্যোগকালে চাঁদপুরের সাংবাদিকরা আমাদের সাথে ছিলেন। চাঁদপুরের প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বিভাগের সাথে প্রেসক্লাব বা সাংবাদিকদের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। আর এটা একটি জেলার আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে খুবই সহায়ক। সাংবাদিকরা আমাদের ভালো কাজগুলো যেমনিভাবে তুলে ধরেন, তেমনি আমাদের কোথাও কোনো সমস্যা বা অসঙ্গতি দেখলে সেটিও আমাদের জানান। এই সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী। অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, বিটিভি ও ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া জীবন, চাঁদপুর বার্তার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শহীদ পাটোয়ারী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি রহিম বাদশা, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও মেঘনা বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক গিয়াস উদ্দিন মিলন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর খবরের সম্পাদক ও প্রকাশ সোহেল রুশদী, দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি মির্জা জাকির, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও চাঁদপুর কণ্ঠের বার্তা সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোর-এর জেলা প্রতিনিধি আল ইমরান শোভন, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি রিয়াদ ফেরদৌস, মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি মুনাওয়ার কানন, একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি কাদের পলাশ ও ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি তালহা জোবায়ের।