স্থানীয় নির্বাচনে সাফল্য ধরে রাখতে হবে : দীপু মনি
দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মতবিনিময়
: নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে তিনি এই মতবিনিময় করেন।
এসময় তিনি বলেন, আজকে আমাদের শিক্ষা দিবস। এটি হয়তো অনেকেই জানেনা। বঙ্গবন্ধু একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছিলেন। এই জন্য তিনি শিক্ষা খাতের উন্নয়নে নানা রকম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা কে জাতীয়করণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন দারিদ্রতা যেন কখনোই শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেয়া শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে দেশে হঠাৎ করেই একটা খাদ্যভাব দেখা দিয়েছিল। সেই সময়ে স্কুলে ছাতু, দুধ দেয়া হতো। শিক্ষার্থীদের জন্য গজ কাপড় দেয়া হতো। সেই সময়ে শিক্ষার্থীদের বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যে শিক্ষকদের কি পরিমাণ সম্মান দিতেন- সেটি বোঝা যায় প্রথম পরিকল্পনা কমিশনে শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল। ওই কমিশনের সচিব ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় শিক্ষবিদরা স্থান করে নিয়েছিলেন। কাজেই বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা, শিক্ষা দর্শনকে ভিত্তি করেই তার কন্যার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা আমূল পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। আমরা নতুন একটি শিক্ষাক্রমের কাঠামো নতুন করে তৈরি করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেটি উপস্থাপন করেছি। তিনি তা অনুমোদ দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা অত্যন্ত আশাবাদি, যেভাবে আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ একটি জাতি গড়ে তোলার জন্য আমরা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছি সকলের সহযোগিতায় আমরা নিশ্চয় তাতে সফল হবো। তার মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।
মন্ত্রী বলেন, সামনে আমাদের অনেকগুলো লক্ষ্য আছে। ইতোমধ্যেই আমরা ২০২১ সালের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যে ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে আসছে সে প্রযুক্তিতে যদি আমরা আমাদেরকে এখনই দক্ষ করে না তুলি, তার সঙ্গে পরিচিত না হই তাহলে কিন্তু আমরা একেবারেই পিছিয়ে পড়বো। সেটি আমরা করতে পারি না। আমাদেরকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতেই হবে। যতো চ্যালেঞ্জ আসবে তাকে সফলভাবে মোকাবেলা করতে হবে। আর এই সবকিছুর মূলে হলো শিক্ষা।
তিনি আরও বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই। আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে। কিন্তু দলের প্রশ্নে আমরা সবাই এক ও অভিন্ন। যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের উচিত সবাইকে নিয়ে পথ চলা। প্রয়োজনে শাসন করতে পারেন। সামনে আমাদের স্থানীয় নির্বাচন রয়েছে। এই নির্বাচনে অতীতে যেভাবে আমরা সাফল্য পেয়েছি। আশাকরি আগামী দিনেও সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারব।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল এর পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ডাক্তার জে আর ওয়াদুদ টিপু , ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রব ভূঁইয়া, আব্দুর রশিদ সরদার, সন্তোষ কুমার দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. রঞ্জিত রায় চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার, প্রচার সম্পাদক আবু নাছের বাচ্চু পাটওয়ারী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী এরশাদ মিয়াজী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মাঝি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হেলাল হোসাইন, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফরিদা ইলিয়াছ, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির সুমন, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মালেক শেখ সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।