হাজীগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিয়ের চার মাস পর গৃহবধূর রুনা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার মৃত্যু নিয়ে রয়েছে দোটানা। কনেপক্ষ বলছেন, যৌতুকের টাকা পরিশোধ না করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর গেণু মেম্বারের বাড়িতে। ওই বাড়ির অটোরিকশাচালক ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী রুনা বেগম।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর গৃহবধু রুনা বেগমকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুনাকে মৃত ঘোষণা করেন। চার মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। রুনা বেগম কচুয়া উপজেলার আমুজান রাজাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। তারা তিন ভাই ও দুই বোন।
রুনা বেগমের চাচাতো ভাই সজিব জানান, তার বোনকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হতো। ইতোমধ্যে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। আরো ২০ হাজার টাকার জন্য চাপ দেয়। সোমবার সন্ধ্যায় রুনা কথা বলার পর মোবাইল বন্ধ রয়েছে। রাত ১টার পর ফোন করে শ^শুরবাড়ি থেকে তাদেরকে মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়।
সরজমিনে বেলঘর গেনু মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে স্বামী ইসমাইলকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছোট ভাই ও বাড়ির লোকজন যৌতুকের বিশ হাজার টাকা বাকি ছিল বলে স্বীকার করলেও গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি।
হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক আল আমিন বলেন, গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply