হাজীগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদ বাজার
শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে হাজীগঞ্জে বিপনী বিতানগুলোতে ভিড় ততটাই বাড়ছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। মার্কেটে মার্কেটে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরছেন অনেকেই।
ঈদ কাছে চলে আসায় সব শ্রেণীপেশার মানুষ ছুটছেন হাজীগঞ্জ বাজারে তাদের পছন্দের কেনাকাটা করতে। মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা রেডিমেড পোশাকের প্রতেই বেশি ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। নারী, পুরুষ, শিশুসহ সকল বয়সীরা এখন কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
হাজীগঞ্জ বাজারের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বিভিন্ন বিপণি-বিতানগুলোতে ততই ভিড় বাড়ছে। ক্রেতারা পছন্দমতো পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। এই ঈদে দোকানিরা ইন্ডিয়ান সারারা জর্জেট, ডায়মন্ড, বিনয়, কাঁচা-বাদাম, লাচ্ছা, বিবেগ, লংস্কার্ট, পাখি-লেহেঙ্গা, ঐশ্বরিয়ার ময়ূরী-ড্রেস আর পাকিস্তানি বাড়িস, খুবসুরত, পাকিস্তানি-কটি, শাহজাদি ইত্যাদি ডিজাইনের পোশাক এনেছেন। এ সব ডিজাইনের কাপড় রকম ভেদে ২ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আবার টেইলার্সের দোকানেও প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে। ঈদের বাকী দুই সাপ্তাহ এখন থেকে কাপড় বানানোর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন টেইলার্স মালিকরা।
হাজীগঞ্জে বিজনেস পার্ক মার্কেটে ঈদবাজার করতে আসা জান্নাতুন ফেরদৌসি মুনিয়া জানান, গত দুই বছর ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে পারিনি। এবার রোজার দুই সাপ্তাহ শেষে শপিং করতে এসেছি। চলতি সপ্তাহে নিজের ও আত্মীয়স্বজনের জন্য শপিং শেষ করতে চাই। কারণ শেষদিকে অনেক ভিড় হয়।
হাজীগঞ্জ রয়েল রওশন সুপার মার্কেটে ঈদবাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ঈদে সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। কিন্তু কি আর করার আছে। ঈদে কিছু কেনাকাটা করা দরকার, তাই মার্কেটে এসেছি।
হাজীগঞ্জ বাজারের ফুলেল সুপার মার্কেটের মিম ফ্যাশনের পরিচালক মোঃ সাদ্দাম হোসেন জানান, ক্রেতারা নিত্য-নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনছেন। এ দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নিত্য-নতুন ডিজাইনের মেয়েদের সিল্ক, বেনারসি, টাঙ্গাইল প্রিন্ট, জামদানি ও কাতান শাড়িসহ থ্রি-পিস, লং-থ্রিপিস, সালোয়ার কামিজ, লেহেঙ্গা, ছিট-কাপড় গ্যাবাডিং-প্যান্ট, হাফ শাট, ফতুয়া ও পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে। ডিজাইন ও রকম ভেদে কাপড়গুলোর ৬০০ থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা অনেক ভালো হবে।
হাজীগঞ্জ রয়েল রওশন সুপার মার্কেটের জোনাকী শপিং সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী প্রান কৃষ্ণা সাহা জানান, করোনার কারণে দুই বছর ঈদে কেনাবেচা তেমন হয়নি। কিন্তু এবার রমজানের শুরু থেকেই বিক্রি বেড়েছে। আশা করছি, এই ঈদে বেচা-বিক্রি অনেক ভালো হবে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান,আমরা জনগণের জান-মাল রক্ষার জন্য সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন বিপণি-বিতান দোকান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ সব সময় টহল দিচ্ছে।