হাজীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলা, আসামী অজ্ঞাতনামা আড়াই হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলা ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে দায়েরকৃত একটি মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে ২ হাজার ২শ জনকে এবং অপর মামলায় আসামী করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় ৪শ জনকে।
১৫ অক্টোবর শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় কোন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যদি মামলা করতে চায় তাহলে আমরা তা গ্রহণ করবো। গ্রেফতারকৃত ৭ জনকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এর আগে বুধবার দিনগত রাত ৮টার পর হাজীগঞ্জ বাজারে লক্ষ্মী নারায়ণ জিওর আখড়া মন্দিরসহ কয়েকটি মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের গুলি নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে শ্রমিকসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন ১৯ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাজীগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।
নিহতরা হলেন- টাইলস মিস্ত্রী চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সুন্দরপুর বাগডাঙা এলাকার সামছুর রহমানের ছেলে বাবলু (৩৫), হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ১১নং ওয়ার্ড রান্ধুনী মুড়ার তাজুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (১৮) ও একই ওয়ার্ডের মো. ফজলুর ছেলে ইয়াছিন হোসেন হৃদয় (১৪) ও পৌরসভাধীন রান্ধুনীমুড়ার বাচ্চুর ছেলে গ্রামের শামীম (১৯)।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, এখানে যখন সম্পদের উপর আঘাত এসেছে, মানুষের জীবনের উপর আঘাত এসেছে তখনতো সঙ্গত কারণেই এখানে যারা শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল তারা আত্মরক্ষার জন্য এবং সম্পদ রক্ষা করার জন্য তারা তখন ফায়ার করেছে। তিনি জানান, এখানে সর্বমোট ৪ জন মারা গেছেন। ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply