হাজীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন মামলায় দুই হাজার আসামি, গ্রেফতার ৭

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানায় হামলা ও পুলিশের আহতের ঘটনায় পুলিশ ২টি মামলা দায়ের করে এ ছাড়াও রাজারগাঁও ইউনিয়নের মুকন্দসার গ্রামে হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল) মো. সোহেল মাহমুদ টেলিফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলায় মোট ১২টি পূজামণ্ডপ ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও মন্দির ভাঙার দায়ে মন্দির কর্তৃপক্ষে একটি মামলা করেছে। এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ জানান, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামীদের সনাক্ত করা হচ্ছে। অন্যায়ভাবে কাউকে আটক করা হবেনা।
এর আগে বুধবার দিনগত রাত ৮টার পর হাজীগঞ্জ বাজারে লক্ষ্মী নারায়ণ জিওর আখড়া মন্দিরসহ কয়েকটি মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের গুলি নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে শ্রমিকসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন ১৯ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাজীগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।
নিহতরা হলেন- টাইলস মিস্ত্রী চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সুন্দরপুর বাগডাঙা এলাকার সামছুর রহমানের ছেলে বাবলু (৩৫), হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ১১নং ওয়ার্ড রান্ধুনী মুড়ার তাজুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (১৮) ও একই ওয়ার্ডের মো. ফজলুর ছেলে ইয়াছিন হোসেন হৃদয় (১৪) ও পৌরসভাধীন রান্ধুনীমুড়ার বাচ্চুর ছেলে গ্রামের শামীম (১৯)।

শেয়ার করুন

Leave a Reply