হাজীগঞ্জ ফোরামের উদ্যোগে পিঠা উৎসব
শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ফোরামের উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টারের ফুড লাভারস পার্টি সেন্টারে দুইদিন ব্যাপী
এই বর্ণিল পিঠা উৎসবের আয়োজন করে হাজীগঞ্জ ফোরাম নামে একটি সামাজিক সংগঠন। এসময় হরেক রকমের পিঠার সমাগমে পিঠার উৎসবে মেতে উঠেছিল হাজীগঞ্জবাসি।
এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ কুমার দে।
এসময় হাজীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মিন্টু দত্ত,হাজীগঞ্জ ফোরামের সমন্বয়কার ও পিঠা উৎসবের সভাপতি ব্যারিস্টার শাহরিয়ার আহমেদ। পিঠা উৎসবের সদস্য অধ্যাপক এস এম চিশতী, পিঠা উৎসব কমিটির আহবায়ক ও হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আল আজাদ,হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মজুমদার,জাহিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
স্নিগ্ধ শীতের সকালে,পড়ন্ত দুপুরে কিংবা আবছায়া গোধূলির ফুরফুর মেজাজে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! শুধু এক প্রকার নয়,হরেক রকমের পিঠার আয়োজন যদি হয়ে থাকে কোনো স্টলে! হ্যাঁ,এমনই আয়োজন ছিল হাজীগঞ্জ ফোরামের উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী পিঠা উৎসবে।
গ্রাম বাংলার নানা ধরনের পিঠাসহ স্টলে স্টলে প্রায় ৪০/৫০ প্রকারের পিঠার সমাবেশ লক্ষ করা যায়। এদের ভিতর উল্লেখযোগ্য চিতই, ভাপা, পুলি, তক্তি, নকশি পিঠা, ডিমের পুডিং, পাটি সাপটা, ঝাল চন্দ্রকোনা, চন্দনকুলি, দুধ খেঁজুর, নারকেলের চিড়া, রসপান, হৃদয়হরন, গোকুল পিঠা, খেুজর রসের পায়েস,সহ হরেক রকমের রসালো পিঠা।
পিঠা উৎসব কমিটির আহবায়ক মহিউদ্দিন আল আজাদ জানান, হাজীগঞ্জ ফোরামের উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী পিঠা এ উৎসবে আমাদের লক্ষ্য পাশ্চাত্য আকাশ সংস্কৃতি থেকে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সবার মাঝে বাঙালি ঐতিহ্যকে ধারণ করার একটি প্রবণতা গড়ে তোলা। এ সংস্কৃতির ধারক,বাহক ও রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। এই রঙ বে-রঙ্গের পিঠা তৈরিতে নিয়োজিত যেসব নারী উদ্যোক্তাগণ এই পিঠা উৎসবে যোগ দিয়েছে তাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন।