হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তফা কামাল মজুমদার
শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ৮ নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়ন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিতে ‘গ্রাম হবে শহর’ স্বপ্নপূরণে কাজ করতে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের দুর্দিনের এই নেতা মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার।
তিনি বলেন, যতোদিন বেঁচি থাকবো মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তী, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি,পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির দিক নির্দেশনায় ৮ নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের উন্নয়ণে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
তিনি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরছেন।
এছাড়া শেখ হাসিনার স্বপ্ন গ্রামকে শহরে পরিণত করতে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন নিরলস প্রার্থী হিসাবে সকলের সহযোগীতা ও দোয়া কামনা করছেন।
তিনি মানবিকতার দৃষ্টিকে প্রসারিত করে, সবার হাতে হাত রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়ায় ৮ নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন গঠন করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান।
নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার জানান,”মাদক আর সামাজিক অবক্ষয় রোধ সহ সকল, বৈষম্য, দুর্নীতি, নির্মূল করে অবহেলিত অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কৃষক, শ্রমজীবী পুরুষ ও নারীর সমাজের অধিকার আদায়ে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি বদ্ধপরিকর।
এছাড়া সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সহ গ্রামকে শহরে পরিণত করে জনগণের প্রকৃত সেবক হতে বাংলাদেশের মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি।
৮ নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নবাসির পাশে ছিলাম। তাদের সেবা করার চেষ্টা করেছি। এখনো তাদের সেবা করে যাচ্ছি। ইউনিয়নের সাধারণ মানুষদের দীর্ঘ দিন ধরে সাহায্য সহযোগীতা করে আসছেন। করোনা কালে অনেক পরিবারকে সহযোগীতা করেছিলেন। আমি এলাকার জনগণের সুখে দুঃখের সাথী হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমি নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
কখনো পদপদবী বা নেতৃত্বের লোভ করিনি। মানুষকে ভালোবেসেছি। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই যথেষ্ট।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অসহায় গরিব মানুষকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্ত এমপির অনুদান সহ ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে ঈদ উপহার প্রদান করেছি।
মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন, দেশ ও জনগণের সেবা করতে হলে কাউকে অবমুল্যায়ণ করা যাবেনা। সবাইকে সাথে নিয়েই এলাকার উন্নয়ণ করতে হবে।
বিগত ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ ইউনিয়নে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের পক্ষে তথা নৌকা প্রতীকে সরাসরি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করি।
বিশেষ করে ২০০১,২০০৮,২০১৪,২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে বিজয়ী করতে ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে আমি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেই।
করোনাকালীন এলাকার অসহায় দুঃস্থদের বিষয়ে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির নির্দেশে উক্ত ইউনিয়নের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ কয়েক হাজার এলাকাবাসীকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা প্রদান করেছি। যা এখনো অব্যাহত আছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি।
প্রথমে ১৯৭৯ সালে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ এর প্রচার সম্পাদক হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার দায়িত্ব পালন করে রাজনৈতিক জীবন শুরু করি।
তারপর ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগ যুগ্ম সম্পাদক হাজীগঞ্জ হাই স্কুল শাখা, ১৯৮৪ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগ, সদস্য ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ ১৯৮৭ ইং,
সাধারন সম্পাদক ৮ নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১৯৯৮ ইং থেকে বর্তমানে ২০২১ ইং দায়িত্ব পালন করছি।
তারপর বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ঘোষিত ১৪ দল তথা মহাজোটেরে কর্মসূচি অনুযায়ী বিএনপি জামাত জোট সরকারের নৈরাজ্য বিরোধী আন্দোলনে মাহবুব-উল আলম লিপন, গাজী মাইনুউদ্দিন, চঞ্চল, বাবুল, জহিরুল ইসলাম মামুন, মিঠুন ভদ্র, মান্নান, খসরুসহ সরকার বিরোধী মিছিল মিটিং হাজীগঞ্জের রাজপথে ছিলাম।বিএনপির বিভিন্ন হামলা মামলার স্বীকার হয়েও আওয়ামী লীগের দুর্দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছি।
বহু দুঃখ-কষ্ট, মামলা-হামলা নির্যাতন তবুও এ দল থেকে পিঁছু হটেনি।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে আমাদের ইউনিয়নে জোট সরকার অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকে নির্যাতন করেছে। অনেকের বাড়ী-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের এখানে শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ করার কারণে মামলা-হামলায় জর্জরিত নেতা-কর্মীদের চিকিৎসা, মামলার খরচ চালাতে হয়েছে।
বিশেষ করে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জামাত জোট সরকারের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আমার নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হাজীগঞ্জ শুকরান হাসপালে বিনা খরচে চিকিৎসা দিয়েছি।
তিনি বলেন, বিদেশীরা এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহন ঝুড়ি বলতো। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ণের মহাসড়কে। দেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ একসময় অন্য দেশের কাছে ঋণের জন্য হাত পাততে হতে এখন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো রাষ্ট্রকে ঋণ দিয়েছি। এসবই সম্ভব হয়েছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে।
তিনি বলেন পদ্মা সেতুতে ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য ঋণ সুবিধা প্রদান করেনি। কিন্তুু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোবলের কারণে আজ পদ্মা সেতুর কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে, বাঙ্গালি জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবেনা তার কথাটাই বাস্তব হলো। আমরা বিজয় হয়েছি ইনশাআল্লাহ।
পদ্মা সেতুর কাজ সমাপ্ত হলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। অর্থনীতির চাকা আরো সচল হবে।
হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়ণ নিয়ে তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রাণ প্রিয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়ণের চাকা সচল হয়। তবে ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাওয়া ভবনের দুর্নীতির কারণে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়ণের চাকা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে আবারো উন্নয়ণের সু-বাতাস বইতে থাকে।
তিনি বলেন, ডাকাতিয়া নদীর উপর আমাদের সংসদ সদস্য, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়ণের রুপকার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মেগা প্রকল্পে ৯টি ব্রীজ করেছেন। এটি জেলার মধ্যে একটি রেকর্ড।
হাজীগঞ্জ-শাহরস্তিতে গত ১৩ বছরে ৫ শতাধিক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা ভবন পাকা করা হয়েছে। ৫’শ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়েছে। সাড়ে ৫’শ ব্রীজ কালভার্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ৫ সহস্রাধীক ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান করেছেন আমাদের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। যদি,দল মনে করে আমাকে মনোয়ন দিলে আমি বিজয় হতে পারবো, আমাকে দিয়ে এলাকাবাসির উপকার হবে তাহলে অবশ্যই আমি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে নৌকা মার্কার মনোনয়ন চাইবো।