‘এতোদিন আমরা এই দিনটির অপেক্ষাতেই ছিলাম’

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে শ্রেণিকক্ষে স্বশরীরের পাঠদান শুরু হয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসায়। সকাল ৯টা থেকেই মাস্ক পরে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে শুরু করে। এরপর হাত ধোয়া থেকে শুরু করে থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা। পরে জেড পদ্ধতিতে বসিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করেন শিক্ষকরা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন। স্কুলে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা। এ যেন এক উৎসবের আনন্দ।
শহরের ৬৬নং ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ ঘুরে দেখা গেলো, অধিকাংশ শিক্ষার্থীই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা খোলার প্রথম দিন ক্লাসে উপস্থিত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
৬৬নং ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা বাবুল বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুলের শ্রেনিকক্ষ ও স্কুল আঙিনা পরিস্কার-পরিছন্ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মাইমুনা বললো, আমাদের স্কুল খুলেছে এ জন্য আমরা খুবই খুশি। আমরা এতোদিন এই দিনটির অপেক্ষাতেই ছিলাম। স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা আমাদের পড়ালেখা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। স্কুলে আমরা যথাযথ দূরত্ব মেনে চলবো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো।
একই শ্রেণির হাসান বললো, আমরা এতোদিন স্কুলে আসার জন্য অস্থির ছিলাম। যদিও স্যারেরা গুগল মিটে আমাদের ক্লাস নিয়েছেন। বাসায় কিছুটা পড়ালেখাও করেছি। তারপরও স্কুলে আসার আনন্দটাই আলাদা।
তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে স্কুল রিঅপেনিংয়ের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। সকাল ৯টা থেকেই ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসতে শুরু করে। তাদেরকে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধভাবে হাত ধুয়ে এবং তাপমাত্রা মেপে ক্লাসে দিয়েছি। প্রতিটি টেবিলে জেড সিস্টেমে একজন করে শিক্ষার্থী বসেছে। তাদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। ছোট্ট সোনামনিদের পেয়ে আমরাও আনন্দিত, উদ্বেলিত। স্কুল খুলে দেয়ার জন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি জানান, প্রথম দিনে তিনটি বিষয়ে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, জেলার ১ হাজার ১৫৬টি স্কুল রয়েছে। এর মধ্যে সবগুলোতেই ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রথ দিনে শিক্ষার্থীদের ভালো উপস্থিতি রয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, জেলার ৫৩৭টি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ক্লাশ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বেশ ভালো উপস্থিতি হয়েছে।
২০২১ এবং ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করবো। এছাড়া দিনে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির মধ্যে যে কোন একটি ক্লাস হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি স্কুল রুটিন করে নিয়েছে। আলাদা আলাদা ক্লাস হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply