এসএসসিতে চাঁদপুরে পাসের হার ৯৪.১৫, জিপিএ-৫ পেল ৩ হাজার ৩৪৬ শিক্ষার্থী

পাসের হারে বোর্ডসেরা চাঁদপুর, জেলায় শীর্ষে কচুয়া : এ প্লাসে সেরা সদর উপজেলা
ইব্রাহীম রনি :
চাঁদপুরে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২৮৪টি স্কুলের ২৭ হাজার ৬৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২৬ হাজার ৭৫ জন। শতকরা পাসের হার ৯৪.১৫ শতাংশ। এর মধ্যে জেলায় জিপিএ-৩ পেয়েছে ৩ হাজার ৪৬ জন পরীক্ষার্থী। এ বছর এসএসসিতে বোর্ডের ৬টি জেলার মধ্যে পাসের হারে ৯৪.১৫ শতাংশ কৃতকার্য হওয়ায় প্রথম স্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা। আর ৯৩.০৭ শতাংশ পাস করায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুমিল্লা জেলা।
এদিকে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে কুমিল্লা জেলা রয়েছে সবার উপরে। এ জেলা থেকে ৬৪ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৮১৯ জন। আর ২৭ হাজার ৬৯৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৩৪৬ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে চাঁদপুর জেলা বোর্ডে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে।
বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে কচুয়া উপজেলা। কচুয়া উপজেলায় এবার এসএসসিতে পাসের হার ৯৫.৯৭ শতাংশ। ৯৪.৯০ শতাংশ পাস করায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফরিদগঞ্জ উপজেলা এবং ৯৪.৭২ শতাংশ পাস নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলা।
এদিকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ৮৪৫ এ প্লাস নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলা, ৬২৬ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় জেলায় দ্বিতীয় স্থানে কচুয়া উপজেলা এবং ৪৬৭ জিপিএ-৫ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলা।
উপজেলাওয়ারী প্রাপ্ত ফলাফলের হিসাবে দেখা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫০টি স্কুল থেকে ৫ হাজার ২১২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৪ হাজার ৯৩৭ জন। পাসের হার ৯৪.৭২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৪৫ জন পরীক্ষার্থী।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪৭টি স্কুল থেকে ৪ হাজার ১৪১ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৩ হাজার ৯৩০ জন। পাসের হার ৯৪.৯০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪৮ জন পরীক্ষার্থী।
কচুয়া উপজেলার ৪০টি স্কুল থেকে ৪ হাজার ১৪৯ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৪ হাজার ১ জন। পাসের হার ৯৫.৯৭ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২৬ জন পরীক্ষার্থী।
শাহরাস্তি উপজেলার ৩৩টি স্কুল থেকে ৩ হাজার ৬৩ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ২ হাজার ৮৮৮ জন। পাসের হার ৯৪.২৯ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২১ জন পরীক্ষার্থী।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২৮টি স্কুল থেকে ২ হাজার ৫১৯ জন পরীক্ষার্থীতে এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ২ হাজার ৩৬২ জন। পাসের হার ৯৩.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭৭ জন পরীক্ষার্থী।
মতলব উত্তর উপজেলার ৪০টি স্কুল থেকে ৪ হাজার ২৭১ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৩ হাজার ৮৭৫ জন। পাসের হার ৯০.৭৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯০ জন পরীক্ষার্থী।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩৩টি স্কুল থেকে ৩ হাজার ৫৭২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৩ হাজার ৩৮৮ জন। পাসের হার ৯৪.৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬৭ জন পরীক্ষার্থী।
হাইমচর উপজেলার ১৩টি কলেজ থেকে ৭৪৯জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৬৯৪ জন। পাসের হার ৯২.৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭২ জন পরীক্ষার্থী।

শেয়ার করুন