কচুয়ার ব্যতিক্রমী রিকশা চালক ওমর আলী

কচুয়ার ব্যতিক্রমী রিকশা চালক ওমর আলীর সঙ্গে সেলফি যাত্রীদের

: কচুয়া প্রতিনিধি :
গায়ে ইস্ত্রি করা শার্ট, তার সঙ্গে মানানসই প্যান্ট, চকচকে পালিশ করা সু,টাই আর সানগ্লাস-হাত ঘড়িও বাদ যায়নি। এভাবেই একদম সাহেব সেজে সৌখিন ভাবে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন অটো রিকশা চালান ওমর আলী।


স্থানীয়দের দৃষ্টিতে তিনি স্মার্ট’ (সৌখিন) রিকশা চালক। ফ্যাশনের দিকে বিশেষ নজর দেয়ার পাশাপাশি তিনি শুদ্ধ বাংলায় কথা বলার চেষ্টাও করেন এবং মাঝে মাঝে বিভিন্ন মধুর সুরে গান গেয়ে যাত্রীদের মুগ্ধ করেন। যার কারনে তার বুদ্ধিমত্তা ও আচরণে মুগ্ধ হন যাত্রীসহ সবাই। তাই তাই অনেক সময় অধিকাংশ যাত্রীর কাছ থেকেই তিনি বকশিস হিসেবে পান বাড়তি ভাড়া।
বর্তমানে মহামারী করোনায় চলমান থাকায় যাত্রী ও মানুষ চলাচল না করায় আগের মতো ভাড়া ও আয় নেই তার। ফলে বাবা-মা, স্ত্রী ২ মেয়েকে নিয়ে টানাপোড়ার সংসারে কষ্টে আছেন তিনি।
সৌখিন অটো রিকশাা চালক মো. ওমর আলী কচুয়া উপজেলার কাদিরখিল গ্রামের মো. আবিদ আলীর ছেলে। তিনি সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। এরপর অভাব ও অর্থের কারণে বেশিদুর লেখাপড়া করতে পারেননি ।
সৌখিন রিকশা চালক ওমর আলী জানান,প্রায় দুই বছর ধরে কচুয়ার পালাখাল,সেঙ্গুয়া,কাদিরখিল,নন্দনপুরসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় রিকশা চালান তিনি। স্মার্ট হয়ে রিকশা চালানোতে তিনি সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘অনেকেই শখ করে আমার রিকশায় ঘুরে বেড়ায়, আমার সাথে সেলফি তোলে, চা খাওয়ায়। এগুলো আমার বেশ ভালো লাগে। এছাড়া অনেকেই আমার আচরণে খুশি হয়ে অনেক সময় অধিক টাকাও দিয়ে থোকেন। এভাবে প্রতিদিন গড়ে ৫-৬ শত টাকা রোজগার হতো। কিন্তু বর্তমানে করোনার প্রভাবে রাস্তা-ঘাটে যাত্রী না থাকায় আগের মতো ভাড়া নেই। আগের মতো এখন আর ভাড়া না থাকায় সরকারি-বেসরকারি ছোট্ট একটি চাকরি পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।
যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম মুন্সীসহ আরো বেশকিছুু যাত্রী জানান, ওমর আলী একজন সৌখিন রিকশা চালক হওয়ায় আমরা প্রতিনিয়ত তার রিকশা চলাচল করে থাকি। তিনি আসলেই একজন রসিক মনের ব্যতিক্রমী মানুষ। তার রিক্সা অনেকেই আমার মতো ইচ্ছে করেই উঠে ঘুড়ে বেড়ায়। তার পোষাক আশাক ও চলাফেরা একটা ভাব রয়েছে। ফলে মানুষ তার রিক্সা উঠতে পছন্দ করেন।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply