কচুয়ায় ৪ দিন স্কুল বন্ধ রেখে শিক্ষকদের আনন্দ ভ্রমণ

কচুয়া প্রতিনিধি :
টানা প্রায় ২বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনাকালীন মহামারীর কারনে গত বছরের সেপ্টেবর মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও করোনার প্রকট বৃদ্ধি পাওয়ায় পূনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে গত ২২ ফেব্রæয়ারি পূনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা ৪দিন বন্ধ রেখে ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র সেন্টমার্টিন দ্বীপ,টেকনাফ ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আনন্দ ভ্রমনে যান কচুয়া উপজেলার সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণী কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা যায়।
যেখানে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করার লক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে। অথচ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে খাম খেয়েলিপনা করে নিজেরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। তাও আবার উপজেলা প্রশাসনের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে। আনন্দ ভ্রমনে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতির নেয়ার বিধান থাকলেও নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে একজন প্রধান শিক্ষকের এহেন কর্মকান্ড বিব্রত শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। এ নিয়ে রীতিমত এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গত বৃহস্পতিবার স্কুল বন্ধ রেখে প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী,মোস্তফা কামাল,কামাল হোসেন,শাহ আলম,মো. সাদেক,জিলানীসহ সকল শিক্ষকবৃন্দ কক্সবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে আনন্দ ভ্রমনে যান। তাদের আনন্দ ভ্রমনের এ ছবি নিজেদের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেয়ায় বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এবং ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হতে সন্তান (শিক্ষার্থী) থাকা বাধ্যতামূলক হলেও সাইদুর রহমান মজুমদার এর বর্তমানে কোনো শিক্ষার্থী না থাকা সত্ব্ওে তিনি সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদ দখল করে আছেন। এক দিকে নিয়ম ভঙ্গ করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হওয়া এবং অন্যদিকে শিক্ষকদের সাথে আনন্দ ভ্রমনে যোগ দেয়ায় তাকে নিয়েও এলাকায় বেশ সমালোচনা ঝড় বইছে।
স্কুল বন্ধ রেখে আনন্দ ভ্রমনে যাওয়ার কোনো অনুমতি কিংবা নিয়ম আছে কিনা মুঠোফোনে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেগে গিয়ে দুলাল চন্দ্র দাস বলেন, এ বিষয়ে আপনি জানার কে। এ জন্য আমার কর্তৃপক্ষ রয়েছে এবং বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্কুল বন্ধ রেখে সিংআড্ডা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ আনন্দ ভ্রমনে যাওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত আবেদন নেই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply