কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান কারাগারে

আশিক বিন রহীম :
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীকে মারধর ও আইসিটি আইনে দায়েরকৃত দু’টি মামলায় চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান শিশিরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর মামলায় স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চাঁদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. হেলাল উদ্দিন এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আজাদ হোসেন।
পরে তাকে নেয়া হয় আইসিটি আইনে দায়েরকৃত আরেকটি মামলার শুনানিতে। শুনানিশেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আজমের আদালতও তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চলতি বছরের ২১ জুন মামলাটি দায়ের করেন চাঁদপুরের জনৈক রাকিবুল হাসান স্বাধীন।

উল্লেখ্য, ছয় কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ দরপত্রের মাধ্যমে পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনন্ত ট্রেডার্স (জেবি)। এরপর অনন্ত ট্রেডার্স কাজটি বিক্রি করে দেয় শিক্ষা প্রকৌশল দফতরের সাবেক কর্মচারী আশ্রাফুল আলম রনির কাছে। ভবন নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ করে আসছিলেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় অভিভাবকরা একাধিকবার উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশিরকে জানানোর পর এক পর্যায়ে তিনি কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। পরে ১৯ জুলাই উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইটে গেলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন স্থানীয়রা। অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় একপর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ারের গায়ে হাত তোলেন। এ ঘটনার পর ইঞ্জিনিয়ার বাদী হয়ে চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার চার দিনের মধ্যেই গত ২৩ জুলাই উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহানকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। তার স্থলে প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা খানমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
অন্যদিকে স্কুল ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় গত ২৮ জুলাই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-পরিচালক প্রশাসন আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূর আলমকে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় বদলি করা হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply