করোনাকালে অনেক শিল্পী কষ্টে ছিলেন, সরকারি সহায়তা নিয়ে তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম : জেলা প্রশাসক

চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির উদ্যোগে জেলা প্রশাসককে বিদায় সংবর্ধনা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চাঁদপুর জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এর নেত্রকোনা জেলায় জেলা প্রশাসক হিসাবে বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২৫ মে) বিকাল ৬টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, বদলি আমাদের জন্যে একটি নিয়মিত বিষয়। আমার জন্যে অনেক বড় একটি বিষয়। যারা প্রথম স্টেশনে সফলতা অর্জন করতে পারে, তখনই আরেকটি স্টেশনে দেয়। আমাকে আরেক স্টেশনে জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়ায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। জেলা প্রশাসক বলেন, আমি চাঁদপুরে সবার সহযোগিতা পেয়েছি। করোনাকালীন সময়ে আমি এ জেলাতে এসেছি। এরকারণেই আমরা আমার থাকার বেশিরভাগ সময়ই আমি শিল্পীদের সাথে থাকতে পারি নাই স্বাস্থবিধি মানার কারণে। শিল্পকলার কমিটি নিয়েও ভাবা উচিত। করোনাকালীন সময়ে অনেক শিল্পীরা কষ্টে ছিলেন। সরকারি সহায়তা নিয়ে আমি দাঁড়িয়েছিলাম। তবে তেমন একটা বেশি কিছু নিয়ে নয়। আমাদের সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখাতে পারবো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমার পরিবারও সংস্কৃতিমনা। আমাদের নামাজ শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিকভাবে শিক্ষা দেয়া হয়েছে পরিবার থেকে। চেষ্টা করেছি নিজের থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করাতে। শিল্প সাহিত্য নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের ভালো রাখার জন্যে। চেষ্টা করেছি শিল্পকলাসহ নানা সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলকে ভালোভাবে রাখার। শিল্পকলা একাডেমি আপনাদের। আপনাদের ধরে রাখতে এসব সংগঠন ও সংগঠনের স্থানগুলোকে। যতদিন বাঁচবো ভালো কাজের মধ্যে যেন থাকি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমতিয়াজ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুভূতি ব্যক্ত করেন, শিশু একাডেমির শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য রূপালী চম্পক, সিনিয়র কণ্ঠশিল্পী ইতু চক্রবর্তী প্রমূখ।
বক্তারা অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, হঠাৎ করে স্যারের চলে যাওয়াটা ভাবতে পারিনি। এত অল্পসময়ে স্যারকে আমরা ঠিকমত পাইনি। তবে যতটুকু পেয়েছি স্যার আমাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছেন। যতদূরেই থাকি না কেন স্যার আমাতের হৃদয়ে থাকবেন। স্যার শিশুদেরকে খুব আদর করতেন। শিশুরাও স্যারকে ভালোবাসেন।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বিদায়ী জেলা প্রশাসকের চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চাঁদপুর জেলা শাখাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা হিসেবে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply