কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৫ মাসের বকেয়া পরিশোধসহ বেতন হালনাগাদ করলেন মেয়র জিল্লুর

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দায়িত্ব পাওয়ার ১ বছর পূর্তি আসন্ন চাঁদপুর পৌরসভা মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের। গেলো বছরের ২৪ অক্টোবর প্রাচীন ও ক শ্রেনির এ পৌরসভার দ্বিতীয় মেয়র হিসাবে তিনি দায়িত্ব নেন। তাঁর এ দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনে তার কাছে পৌরসভার ৩ শতাধিক কর্মকর্তার জোর দাবি ছিলো, ৫ মাসের বেতন বকেয়া পরিশোধসহ তাদের বেতন হালনাগাদ করা।
গতকাল চাঁদপুর পৌরসভার হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সহসভাপতি সৈয়দ মো. মুশিউর রহমান চাঁদপুর প্রতিদিনকে জানান, নতুন মেয়র জিল্লুর রহমান দায়িত্ব নেয়ার আগ পর্যন্ত ২ শ ৩৭ জন নিয়মিত এবং ৭১ জন অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীর ৫ মাসের বেতন বকেয়া ছিলো ৪ কোটি ১৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। মেয়র আমাদের সাথে তার প্রথম সভাতেই তিনি বলেছেন, কর্মকর্তাদের পেটে ক্ষুদা রেখে আমি আমার মেয়রের চেয়ারে বসে থাকতে চাই না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমি আপনাদের বকেয়াদি পরিশোধ করে বেতন হালনাগাদ করবো। তিনি বলেন, মেয়র মহোদয় তার কথা রেখেছেন। মুশিয়র বলেন, ঐ ৪ কোটি টাকা তো তিনি পরিশোধ করলেনই, উপরোন্ত প্রতিমাসের বেতন, বোনাস এসব হালনাগাদ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঐ ৫ মাসের বেতন ছাড়াও মেয়র তার প্রিয়ডের চলমান ১১ মাসে ১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং ২ টি ঈদ, পূজায় বোনাসে প্রায় ১ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। আসন্ন দুর্গাপূজাতেও তিনি বোনাস দিয়ে দিয়েছেন। মুশিউর জানান, প্রতিমাসে আমাদের বেতন হয় ১ কোটি ২২ লাখ টাকার মতো। এরমধ্যে ৪টি প্রাথমিক ও ৩টি স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীর বেতন দিতে হয় প্রায় ২১ লাখ টাকা।
কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন হালনাগাদ কেন করছেন বা এতে পৌর মেয়রের লাভ বা আপনাদের কাছে তার প্রাপ্তি কী? এ প্রসঙ্গে মুশিয়র বলেন, মেয়র জিল্লুর রহমান বলেন, পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিরা বেতন যদি ঠিকমত না পান, তাদের সংসারে যদি টানা পোড়েন হয়, তাহলে আমি তাদের অধিকাংশের কাছ থেকেই কাজ পাবো না। তারা জবাব দিহিতায় আসবে না। স্বীয় কাজে ফাঁকি দেবে। পৌরসভার লস হবে তথা জনগন সাপার করবে। এটা হতে দেবেন না তিনি।
এ সম্পর্কে মেয়রের সাথে যোগাযোগ করলে মেয়র জিল্লুর রহমান জানান, আমাকে জনগনের হয়ে কাজ করতে হলে কর্মকর্তা কর্মচারীদে প্রাপ্ত স্বার্থ দেখতে হবে। তাই অনেকগুলো কাজের মধ্যে এটাকে প্রাধান্য দিয়েছি। আগে যে কর্মকর্তা কর্মচারীরা ছিলেন, তারা সবাই আছেন। তাদের বেতন হাল নাগাদ করাতে আমি তাদের নিয়মের মধ্যে আনতে পারছি। এখন তারা ইচ্ছামতো মনগড়া নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করতে দ্বিধা করবে। কারণ বেতন হালনাগাদ করার পাশাপাশি হুশিয়ারিও আছে। আর সেটি হলো পৌরবাসীর উপকারে কাজ করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে আইনানুগ ব্যবস্থা। তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী ইস্তেহার সামনে রেখে এবং তা বাস্তবায়নে আমাকে এগুতে হবে আমাদের কাউন্সিলরদের নিয়ে। সেখানে আমাকে বা আমার সভাসদকে যারা সাহায্যকারি, তারা এই পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিরা। মেয়র বলেন, নিজস্ব তথা পৌরসভার অর্থায়নে এখন কাজ করছি। অনেক কাজ করছি, অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে বাকি কাজগুলো করবো। সকল কাজই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে হবে, হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply