কোথাও বই পেতে দেরি হলে ওয়েবসাইট থেকে পড়ানোর পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর

চাঁদপুর প্রতিদিন রিপোর্ট :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যবই না পাওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যে সকল শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া বাকি ছিল, তাদেরকে ২৫ তারিখের মধ্যে সমস্ত বই দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কাজেই কোথাও যদি বই পৌঁছতে দেরি হয়ে থাকে অবশ্যই আমি তা দেখব। তবে আমি সবাইকে বলবো- আমাদের কিন্তু ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি বই দেয়া আছে।কাজেই যদি কোথাও কোন ব্যত্যয় ঘটেও থাকে, তাহলে যেন সেই ওয়েবসাইট থেকে বিশেষ করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন- কোন অসুবিধা নেই।
তিনি সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে আসলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু জ্ঞানভিত্তিক নয়, দক্ষতাভিত্তিক, সফটস্কিল ও মূল্যবোধ শিখার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্মার্ট নাগরিক হয়ে উঠবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে। আমাদের যাতায়াত ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে মোবাইল। সত্যিই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। তবে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রায় আমরা মনি করি, রাজনীতিকেও স্মার্ট হতে হবে। যেখানে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থটাকে সবচাইতে আগে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হবে। মানুষ ও দেশ এটিই সবার আগে এবং সেখানে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, মানুষকে বিভ্রান্ত করা, মানুষকে পুড়িয়ে মারা এগুলো কখনো স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট রাজনীতির অংশ হতে পারে না। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা এবং কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে, অন্যেরা অর্থ বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলবে, স্মার্ট রাজনীতি এগুলো হতে দেবে না।
দীপু মনি বলেন, আমাদের শুধু জ্ঞান ভিত্তিক নয়, জ্ঞান ভিত্তিকের সাথে দক্ষতা ভিত্তিক এবং তারা সফ্ট স্কিল শিখবে, তারা মূল্যবোধ শিখবে এবং এই শিক্ষার মধ্য দিয়ে তারা স্মার্ট নাগরিক হয়ে উঠবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ঠিক পিতার মত। যখন যে স্বপ্ন দেখান, তা বাস্তবায়ন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নয়নশীল দেশের কথা বলেছিলেন, হয়েছি আমরা। এখন তিনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, সুখী ও শান্তিময় বাংলাদেশ হব এবং সে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে অর্থাৎ সবাই কেবল কম্পিউটার ব্যবহার করবে তা কিন্তু নয়। আমাদের সমস্ত সেবা ও কাজ, যত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আছে সেগুলো দিয়ে আমাদের জীবনটা এগিয়ে যাবে। সমস্ত প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিটি মানুষ দক্ষ হবে এবং সে প্রযুক্তি দিয়ে যত সেবা আছে, সেগুলো প্রতিটি মানুষের পৌঁছে যাবে এবং সে প্রযুক্তির কারণে যত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আছে সেগুলো এবং তার মান নিশ্চিত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ মানুষ মানে যেখানে প্রতিটি নাগরিক, সরকার, সমাজ, অর্থনীতি স্মার্ট হবে। আমাদের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থসহ প্রতিটি ক্ষেত্র স্মার্ট হবে। এর মধ্য দিয়ে তারা উন্নত জীবন যাপন করবে। এটিই মূলত স্মার্ট বাংলাদেশ।
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভুঁইয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান শোভন, চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন