চাঁদপুরে দায়সারাভাবে উদযাপন হলো জাতীয় কন্যা শিশু দিবস!

র‌্যালি কর্মসূচি থাকলেও তা হয়নি। তবে র‌্যালির নামে সার্কিট হাউজ চত্বরেই ব্যানার ধরে ফটোসেশন করা হয়।

: এইচ.এম নিজাম :
চাঁদপুরের দায়সারাভাবে পালিত হলো জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২০। গতকাল বুধবার (৩০সেপ্টেম্বর) সকালে সার্কিট হাউসে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর চাঁদপুর এর আয়োজনে সার্কিট হাউজ চত্বরেই র‌্যালির নামে ফটোসেশন এবং তার হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাফিয়া ইকবাল।


আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ, জাতীয় মহিলা সংস্থা চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যাপক মাসুদা নুর প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপিত হলেও চাঁদপুরে দেখা গেছে তার ব্যতিক্রম। এই করোনা কালীন সময়ে চাঁদপুরে তথ্য অধিকার দিবস ও পর্যটন দিবসসহ বিভিন্ন দিবসের কার্যক্রম ঠিকঠাকভাবে চললেও করোনার অজুহাতে একরকম দায়সারাভাবে সম্পন্ন করা হলো জাতীয় কন্যা শিশু দিবসটি। দিবসের আলোচনা সভায় আসেননি প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি। স্বাস্থ্য বিধি মেনে বা এমনিতে এসেছে- দেখা যায়নি কন্যা শিশুদের উপস্থিতিও। জাতীয় মহিলা সংস্থার কয়েকজন মহিলাদের উপস্থিতির মাধ্যমে শেষ করা হয় কোন রকম একটি আলোচনা সভা ও রেলি।
এ ব্যাপারে চাঁদপুরের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাফিয়া ইকবালের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের বাজেট কম, এজন্য আমরা ভালোভাবে কাজ করতে পারছিনা। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি কে দাওয়াত দিয়েছি, কিন্তু তারা করানোর কথা বলে প্রোগ্রামে আসেন নাই।
একটি জাতীয় দিবসের আলোচনা সভা ও রেলির কথা সাংবাদিকরা জানেন না কেনো তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিকদেরকে জানালে এবং প্রোগ্রামে দাওয়াত করলে তাদেরকে খরচ দিতে হবে এই জন্য তাদেরকে বলি না।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপনে যথাযথ বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু সে বরাদ্দের কথা জানতে চাইলেও তা জানাননি উপপরিচালক।
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর চিঠি প্রেরণ করেছে এবং যথাযোগ্যভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করার জন্য। আলোচনা বা র‌্যালিতে উপপরিচালক নিজেও মাস্ক ব্যবহার করেননি। এমন একটি দিবস এমন হেলায় পালন হওয়ায় এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যেখান রাষ্ট্রের ৪৮ ভাগ নারী তথা এবং কন্যা শিশুরা। অনেকেই বলছেন, এতো সুন্দর একটি দিবস শিল্পকলা, জেলা প্রশাসকের হল রুম নয়তো শিশু একাডেমির হলরুমে করা যেতো। কিন্তু তা হয়নি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply