চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের অধ্যক্ষ সুখরঞ্জন ব্রক্ষচারীর পরলোকগমন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মহারাজ কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রক্ষচারী ২৭ সেপেটম্বর রোববার বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বারডেম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি দীর্ঘ্য এক মাস ধরে স্বাস কষ্টজনিত রোগে ভোগছিলেন।
চাঁদপুরে চিকিৎসা শেষে শুক্রবার আবারো অসুস্হ্য হয়ে পরলে দ্রুত তাকে ঢাকা গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে মহারাজ কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রক্ষচারীকে বাডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৫ টায় তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।
চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মহারাজ কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রক্ষচারী প্রায় ৩২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেন।মৃত্যু কালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। ব্রক্ষচারীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি সংসার জীবন করেননি।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় চাঁদপুর অযাচক আশ্রমে পরমারত্ন গুরুদেব শ্রী শ্রী স্বরূপানন্দ পরমজংস দেবের প্রবর্তিত অখন্ড বিধি মোতাবেগ সমবেত উপাসনার মাধ্যমে চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মহারাজ কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রক্ষচারীর অন্তস্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। সুখরঞ্জন ব্রক্ষচারী চাঁদপুরের জরাজির্ন অযাচক আশ্রমটিকে বহু প্রতিকূতার মধ্যদিয়ে ভারতিয় উপমহাদেশের অর্থায়নে সূসজ্জিত আশ্রম হিসেবে গড়ে তুলে ছিলেন।আজ সেই আশ্রমেই তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষামন্ত্রীর শোক :
চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের অধ্যক্ষ কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, অযাচক আশ্রমের অধ্যক্ষ মহোদয় একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার সাধক ছিলেন। চাঁদপুর শহরের পুরাণ আদালত পাড়ায় স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের পুণ্য জন্মস্থানকে ঘিরে সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারী অযাচক আশ্রম গড়ে তুলেন। এই আশ্রমকে ঘিরে এখানে তিনি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মানবসেবারও নানা কাজ করতেন। আমার সাথে তাঁর একটি হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। তাঁর বদান্যতায় আমি এই আশ্রমের নানা উন্নয়ন কাজে সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ পেয়েছি। আশ্রমের যে কোনো কাজে, যে কোনো সমস্যায় তিনি আমার কাছে খুব আপন মনে করে চলে আসতেন। আমিও তাঁর অর্থাৎ আশ্রমের কাজগুলো খুব আন্তরিকতার সাথে করে দিতাম। তাতে তিনি আমার প্রতি খুবই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেন। অযাচক আশ্রমের যে কোনো অনুষ্ঠানে তিনি আমাকে স্মরণ করতেন। সেজন্যে আমি তাঁর কাছে আজীবন ঋণী হয়ে থাকবো। তাঁর মৃত্যুতে চাঁদপুরবাসী একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মহান সাধককে হারালো। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

মেয়র প্রার্থী জিল্লুর রহমান জুয়েলের শোক :
চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের অধ্যক্ষ কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রহ্মচারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষকে হারালাম, মহান সাধককে হারালাম। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply