চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু

* ভিসি বললেন প্রথম দিনই থাকছেনা কোন আড়ম্বতা
* প্রশিক্ষক রমজান আলী বললেন সকাল ৮টা থেকে ক্লাস!
* বাইরের কাউকেই বলা হয়নি
* শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য নেই আবাসন ব্যবস্থা

ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ::

অবশেষে বহুল আলোচিত এবং প্রত্যাশার চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস একটি বাড়াবাড়িতে আজ ৭ মে রোববার থেকে নিয়মিত ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে। এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষক মোঃ রমজান আলী গতকাল রাতে জানালেন, সকাল ৮ টা থেকে ক্লাস শুরু হবে এটুকু আমি জানি। এর ভাইস চ্যান্সলর ড. নাছিম আক্তারও শুক্রবার ক্লাস রোববার ক্লাশ শুরু হওয়ার কথা জানালেও শনিবার এসে বল্লেন – আসলে পুরোদমে ক্লাস শুরু হতে আরো ২/১ সপ্তাহ সময় লাগবে। তো রোববার ক্লাসটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। আমরা শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে একে অপরের সাথে পরিচিত পর্ব সারবো। মূলত আজ তাদের ক্লাস না পরিচিতি সভা যা-ই হোক না কেন – সরকারি পর্যায়ে এই প্রথম চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জেলার মাটিতে স্বীয় অস্তিত্বে নিয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্ত এতে কোনরকম আড়ম্বড়তা না থাকায় দিনটি ঐতিহাসিক হয়ে থাকলো না।

মূল শহর থেকে তিন কিলো দূরে চাঁদপুর পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের খুলিশাডুলি ওয়াপদা গেট এলাকার এই ভাড়া ভবনে গত কয়েক মাস ধরেই নির্মান কাজ চলছিলোো। ভেতরের কাজ অর্ধেক হওয়ার পরই গত ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় দেড় লাখ টাকা বাড়ি ভাড়ায় মালপত্র তুল্লেও ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় ক্লাস নিতে পারিনি। শুক্রবার গিয়ে দেখা গেলো, এর ৫ তলা যেটুকু বিশ্ববিদ্যালয়ের তার ভেতরের কাজ সম্পন্ন হলেও লিফট আনা হয়নি। এর কাজ ঋন প্রাপ্তি সাপেক্ষে হবে বলে এর মালিক জানালেন। তবে কয়েক মাস দেরি হবে।
চাঁদপুরে এই কোন প্রথম এবং একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হতে চল্লো। তা- ও পুরোদমে নি: শব্দেই। কারণ রোববার নবীনবরণে ( ২০২১- ২০২২ শিক্ষাবর্ষ ) ঐ বাড়িতে সেই রকম কোন আনুষ্ঠানিকতাই থাকবে না বলে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. নাছিম আখতার। তিনি শুক্রবার তাঁর মুঠোফোনে কথা হলে জানান, বাইরের তথা স্থানীয় কিংবা ঢাকার কোন অতিথিকেই আমরা আমন্ত্রণ জানাইনি। যারা প্রথম দিন এবং জেলার একটা প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষামন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা ও এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁরও বড় একটা অবদান, সেই হিসাবে তাঁর উপস্থিতিতে একটা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু করলে ভালো হতো কিনা – এমন প্রশ্নের উত্তরে ভিসি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি দেশের বাইরে। উনি সময় করলে এবং উনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং সুবিধাজনক সময়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান হবে। তাঁর সাথে রোববারের ক্লাস শুরু হওয়া নিয়েও ভিসির সাথে কথা হয়নি বলে তাও জানালেন । ড. নাছিম আখতার বলেন – আমরা প্রশাসন, রাজনীতিক সামাজিক শিক্ষাবিদ কাউকেই বলিনি। ওইদিন তিন ডিপার্টমেন্টে ভর্তি ৯০ শিক্ষার্থী, ৬ শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরাই উপস্থিত থাকবেন। আর এই ক্যাম্পাসে ক্লাস করবেন এবং পরিচিতির জন্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব মোবাইল ম্যাসেজে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে কোন নোটিশ আমরা দেইনি এখনো। তিনি বলেন, শুধু তো শিক্ষামন্ত্রীই না, এখানের আরো আসনের এমপিদেরও বলতে হবে। এদিকে অস্থায়ী ক্যাম্পাসের আশপাশের মানুষ বা ক্যাম্পাস থেকে অল্প দূরে শহরের অবস্থানরত মিডিয়া কিংবা শিক্ষাবিদ সুশীল সমাজ জানেনই না এই জেলার প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্লাস, পরিচিতি কিংবা নবীনবরণ ৭ মে শুরু হতে যাচ্ছে অস্থায়ী ক্যাম্পাসটিতে। ভিসি বলেন, ভাই শুরুটাই যে করতে যাচ্ছি এতো বিপত্তির মধ্যে, তাই তো শুকরিয়া। আপনারা তো সবই জানেন। এছাড়া বেশ তাগিদ আছে বিশ্ব বিদ্যালয় মন্জুরি কমিশনের। এছাড়া ২০২১- ২০২২ সেকশনের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে আছে দীর্ঘ সময় ধরে। সামনে আরেকটা সেশন।
এদিকে তিন গ্রুপে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত কোন আবাসিক ব্যবস্থা নেই। এ প্রসঙ্গে ভিসি ড. নাছিম আখতার বলেন, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা সবাই নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় থাকার ব্যবস্থা করবেন, তা আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো- ভর্তি হওয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই অন্যজেলার এবং দূরবর্তী অন্য জেলারও রয়েছে। যাদের৷ থাকার জন্য তারা বাসাবাড়ি খোঁজছে। কেউ কেউ ভাড়া বাসায় উঠে গেছেন।
২০১৯ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া চাঁদপুর ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ৪ বছর পর। এর আচার্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ উপাচার্য ২০২১ সালের প্রথম দিকে নিয়োগ দেন ড. নাছিম আক্তারকে। তিনিই এর প্রথম ভিসি। অপ্রিয় হলেও সত্য, এর স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভূমি অধিগ্রহন জটিলতা না কাটায় ভিসি ড.নাছিম চাঁদপুরে অবস্থান নিতে পারেননি। কদম তলায় শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনেই একটা অংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস থাকলেও তা মূলত অফিস হিসাবেই ব্যবহার হয়নি। গত আড়াই বছর যাবৎ ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ কর্মকর্তারা এর স্থায়ী অফিস করেন ঢাকায়। এখনো সে অফিস থেকেই কর্মকান্ড চলে।
প্রথমে অস্থায়ী এখনের এই ক্যাম্পাসের ঠিকানা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারনে কাউকে বলতে নারাজ ছিলো। অবশেষে মাত্র মাস খানেক আগে দেখা গেলো, জেলা শহর থেকে ৩ কিলো দূরে বাবুরহাট খুলিশাডুলি ওয়াপদা গেট এলাকায় চাঁদপুর – কুমিল্লা সড়কপাশে একটি বাড়ির ৬ তলা ভবনের ৫ তলা পর্যন্ত এর অস্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ভাড়া নেয়া হয়েছে।
ভবনটির একতলায় এবং সামনে একেবারে সড়কের ফুটপাতে এর সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানালেন, গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই প্রতিমাসের টাকা কার্যকর করে তা পরিশোধ করা হচ্ছে । বাড়ির মালিক জাকির হোসেন বল্লেন – তিনি ১৫ লাখ টাকা এ্যাডভান্স পেয়েছেন। সে থেকেই ভাড়া কেটে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচে ( ২০২১- ২২) ৩ টি বিভাগের শিক্ষারথী ভর্তি সম্পন্ন হয়ে গেছে। গত তিন মাস ধরে শিক্ষকসহ অন্যান্য নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। আবেদনকারী ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে সিটি হিসাব অনুযায়ী ৯০ জন ভর্তি হয়ে আছে তিন বিভাগে। ভিসি জানান, ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস হয়েছে কিছুদিন । অন্যদিকে ২০২২- ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছপদ্ধতির পরীক্ষায় এ ইউনিটে (প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ঈঝঊ) বিভাগে ৩০ ও ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (ওঈঞ) বিভাগে ৩০ এবং সি ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিস অনুষদ) ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইইঅ) বিভাগে ৩০ আসনে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানালেন, তাদের ভর্তি সম্পন্ন হলে আগামী ক’ মাসের মধ্যেই অস্থায়ী এই ক্যাম্পাসে তিন বিভাগে ১ শ ৮০ শিক্ষক এক সাথে ক্লাস করতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সাল থেকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা লোপাটের চেষ্টা করে মেঘনা নদী তীরবর্তী চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানসহ প্রভাবশালী একটি চক্র। তবে সাবেক জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের তৎপরতার কারণে এবং উচ্চ আদালতের রায়ে সেই প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। এছাড়া সরকার দলের একটা বৃহৎ অংশই এখানে নদী সংলগ্ন ভাঙন কবলিত এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে এটি সেখানে নির্মানের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এরপর অস্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য বাড়ি ভাড়া চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে বিতর্কিত স্থানের পাশে অনেক সুকৌশলে চেয়ারম্যান সেলিম খানের স্ত্রীর নামে থাকা বাড়ি ভাড়া নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়টি জানাজানি হলে সেখান থেকে সরে আসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সর্বশেষ কয়েক দিন আগে চাঁদপুর শহরের একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু ওই বাড়ির অবস্থান কোথায়, কার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হলো- এসব বিষয়ে তখন কোনো তথ্য প্রকাশ করতে রাজি ছিলেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
এদিকে, একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেলো, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সেই বিতর্কিত ৬২ একর জায়গায় চাঁদপুর ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নেয়ার পায়তারা এখনো চলছে। এতোসব হওয়ার পরও সেখান থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত স্থান, ভিসির বাসভবন, ডিনের বাস ভবন এসব লেখা সম্বলিত সাইনবোর্ড সরিয়ে নেয়া হয়নি! অথচ ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া যদি ১২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন না হয় তাহলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাদ হওয়ার কথাটি বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইনেই বলা আছে। অথচ দেড় বছর পার হতে চল্লো। এছাড়া অধিগ্রহণ দেবেন যে কর্তৃপক্ষ তথা জেলা প্রশাসন, সেখান থেকে গেজেটের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়ার বিধান স্পষ্ট।
জানা গেছে, ২০১৭ -১৮সহ ৩/৪ সালের ঐ এলাকার জমির মৌজার রেট অনুযায়ী ভূমির দাম জেলা প্রশাসন নির্ধারণ করে দেন ১৯৪ কোটি টাকার কাছাকাছি। কিন্তু সেলিম খান জমি বিক্রেতা হিসাবে আদায় করতে চেয়েছিলো ৫৬০ কোটি টাকা। কিন্তু তৎকালীন জেলা প্রশাসক অন্জনা খান মজলিশ রাষ্ট্রীয় এতোবড় ক্ষতি না চেয়ে মৌজা রেট অনুযায়ী নির্ধারিত দামেই অনড় থাকেন। পরে জমির মালিক সেলিম খান ও তার সহযোগী অন্যান্য বিক্রেতারা আদালতে প্রশাসনের নির্ধারিত মূল্যের বিরুদ্ধে রিট করলে উচ্চ আদালত তথা সুপ্রিম কোর্ট জেলা প্রশাসকের নির্ধারিত মূল্যকেই প্রাধান্য দেন এবং এই রিট ও কালক্ষেপণ এবং নকল দলিলাদি উপস্থাপন করায় সেলিম খানের একলা ৫০ লাখ, তার ম্যানেজার বলে পরিচিত আবদুল কাদির ও আরেক সহযোগীর ২৫ লাখ করে কোটি টাকা জরিমানা করে। এছাড়া দুদকও চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিষয়ে তদন্ত শুরু করলে তার এই সম্পত্তিসহ বহু সম্পত্তিতে অসংগতি ও অবৈধ সম্পদের উপর মামলা দায়ের করে। তার সকল সম্পত্তি জব্দ ও ক্রোক পরোয়ানা জারি করে। ৩০ কোটি টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। এদিকে দুদকের মামলায় গ্রেফতার হয় চেয়ারম্যান সেলিম, জেলে যাওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ থেকে তাকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়। সে ছিলো লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনমাস জেল খেটে জামিনে ছাড়া পেলেও আদালত তার চাঁদপুর ও চাঁদপুরের বাইরে ঢাকা, নারায়নগন্জসহ সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি দুদকের আবেদনে ক্রোক পরোয়ানা জারি করে। যা এখনো বলবদ রয়েছে বলে জানালেন সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার। এই হিসাবে সে তার কোন সম্পত্তিই পরবর্তী আদালত বা দুদকের নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিক্রয় করতে পারবে না। এদিকে, চলতি বছর ঐ এলাকার জমিসহ সারা দেশে জমির দাম বাড়ানো হয়েছে একরকম অস্বাভাবিকভাবে । যা ২০১৭- ১৮ সালের মৌজার রেটের চেয়ে কয়েক গুন বেশি। আর এই সুযোগককে কাজে লাগিয়ে আবারও সেলিম গংরা সেই বিতর্কিত স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থায়ীভাবে স্থাপনে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্র জানায় ।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে, এখানের বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর সরকারি কলেজসহ সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার অনেকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, আজকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যে তাদের ক্যাম্পাসে উঠতে যাচ্ছে, ক্লাস হবে, পরিচিতি সভা হবে, এটি তারা জানেনই না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউকেই বলেননি। তারা বলছেন, একটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী মনোভাব, চাঁদপুরের প্রতি তাঁর আলাদা একটা টানে, এটি প্রতিষ্ঠা পেলো, কিন্তু আজকের ইতিহাসে দিনটিকে সেভাবে ধরে রাখা গেলো না। অথচ চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ এখনো অস্থায়ী ক্যাম্পাসে। কিন্তু সেইমেডিকেল কলেজটিও প্রথম দিন থেকেই যাত্রা শুরু করে আড়ম্বতায়। শিক্ষামন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে, রাজনৈতিক নেতাদের সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ফুল হাতে দিয়ে সেটির যাত্রা শুরু হয়।

শেয়ার করুন