চাঁসক অধ্যক্ষের বিতর্কিত কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জেলা ছাত্রদলের, অপসারণ দাবি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ স্বেচ্ছাচারিতা এবং রাজনৈতিক দলবাজির সকল সীমা লংঘন করে ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছেন বলে দাবি করেছে চাঁদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল । জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমাম হোসেন গাজী ও সাধারন সম্পাদক। তারা দলের পক্ষ থেকে রোববার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অধ্যক্ষ হিসাবে অসিত বরণ দাশ একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সমস্ত বিধি-বিধান ভঙ্গ করে একটি সংগঠনের পক্ষ নিয়ে নির্লজ্জ দলবাজি করে চলছেন। তারা বলেন, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারে বিরুদ্ধে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে বিএনপি দেশব্যাপী কঠিন আন্দোলন সংগঠিত করে এরশাদের পতন ঘটান কিন্তু দীর্ঘ নয় বছরে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বারবার ভেলকিবাজী করে জাতির সাথে বেইমানী করে অবৈধ এরশাদের সাথে নির্লজ্জভাবে আঁতাত করে এরশাদকে বৈধতা দেয়ায় চেষ্টা করছে। দীর্ঘ তীব্র আন্দোলনের শেষ মুহুর্তে গত ৩রা ডিসেম্বর ‘৯০ চাঁদপুর ছাত্র সমাজের চূড়ান্ত আন্দোলনের একটি বিশাল মিছিলে এরশাদ সরকারের পুলিশ অতর্কিত গুলি করে তৎকালীন ছাত্রনেতা জিয়াউর রহমান রাজুকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং অসংখ্য ছাত্র জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়। তারা বলেন, আমরা শহীদ রাজুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। নেতারা ঐ নেতারা বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান রাজুর আত্মত্যাগকে পুঁজি করে তার শাহাদাৎ দিবসে গত ৩রা ডিসেম্বর চাঁদপুরে একটি সংগঠন কর্মসূচি পালন কালে রাজুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে কলেজের অধ্যক্ষ উপস্থিত লোকজনের সামনে একটি শপথ বাক্য পাঠ করতে গিয়ে বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে প্রতিহত করার উদ্যত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়ে নির্লজ্জ দলীয় কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। যা আবার বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছেন যেটি আমরা চাঁদপুর কলেজের সাবেক ভি.পি, জি.এস ও সকল ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও চরম ঘৃনা প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে সরকারি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ দাবী করছি এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহŸান জানাচ্ছি। নতুবা চাঁদপুরের ছাত্র জনতা কঠিন আন্দোলনের মাধমে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।
তারা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করেন যে, ইতিমধ্যে কলেজের একটি বাগান যাতে মহামূল্যবান অসংখ্য গাছ ছিল যেগুলো কোন টেন্ডার ছাড়া কাটা হয়েছে এবং পুরাতন ইটগুলো টেন্ডার না দিয়ে বিক্রি করে টাকাগুলো আত্মসাত করেছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা সচেতন ছাত্রসমাজ নীরব থাকতে পারি না, অধ্যক্ষের এহেন অনৈতিক কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।

শেয়ার করুন