চাঁসক অধ্যক্ষ ক্ষমা চাইলেন বিএনপি ও ছাত্রদলের কাছে

চাঁদপুর প্রতিদিন রিপোর্ট :
‘ ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হওয়া জিয়াউর রহমান রাজুর শাহাদাত বার্ষিকীতে শপথ বাক্য পাঠ করতে গিয়ে বিএনপি ছাত্রদল ও এর অঙ্গ সংগঠনের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ। গতকাল তার এই শপথ বাক্য পাঠ বিষয়টি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এহেন অবস্থায় অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ তার কলেজ পেইজবুক আইডি থেকে বিএনপি ও ছাত্রদলের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন, সেটিও একরকম ভাইরাল হওয়ার মতো। রোববার অসিত বরণ দাশ তার ফেইসবুক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমার এ বক্তব্য কিংবা শপথ বাক্যে বিএনপি বা ছাত্রদলকে দোষারোপ করে বলাটা ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, ‘৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি ও ছাত্রদলের ভূমিকা ছিলো অনেক। আসলেই আমার শপথে তাদের এমনটা বলা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। তাই আমি আমার এ বলার জন্য দু:খ প্রকাশ করছি। আমার এ বক্তব্যে বিএনপি, ছাত্রদল ও এই দলের সমর্থকরা আমার এ কর্মে আহত হয়েছেন, তাই আমি আপনাদের কাছেও দুঃখ প্রকাশ করছি। অধ্যক্ষ বলেন, আমাকে তা পড়তে দেয়া হয়ছে এবং শপথ বাক্য পাঠ করাতে বলা হয়ছিলো, কিন্তু এর মধ্যে যে কী লিখা ছিলো, তা আমি তাড়াহুড়োর মধ্যে দেখতে পারিনি।
এদিকে, অধ্যক্ষের এ ফেইজবুক ভিডিও বার্তায় এবং বিএনপির পক্ষ নিয়ে জোরালো বক্তব্য দেয়ায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমান নেতারাও বিব্রত। তারা অনেকেই বলছেন, সরকার ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এদের এহেন তেলবাজি, চামচামি আর দলবাজির কারনে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমাদের সরকার আমলে এই অধ্যক্ষ সহকারি অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ভাইস প্রিন্সিপাল, অধ্যাপক এবং শেষ প্রিন্সিপাল হিসাবে একনাগারে দায়িত্ব পালন করছেন! আবার তিনি এই কলেজের ছাত্র এবং চাঁদপুরেই ছেলে। হয়তো একই জায়গায় থেকে এতোসব প্রাপ্তিতে তিনি বেপরোয়া হয়ে গেছেন। তার এই ফেইজবুক বার্তাই দরকার কী ছিলো আর শপথ পাঠে এমন বক্তব্য উপস্থাপনই দরকার কি ছিলো। সে তো আমাদের আওয়ামী লীগকেই খাটো করলো।

শেয়ার করুন