ট্রেনের নিচে ছেলের আত্মহত্যা : বাবা বলছেন মাহতাব মাদকাসক্ত ছিলো

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত ২৭ আগস্ট রাতে চাঁদপুর শহরের মুন্সীবাড়ি এলাকায় ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করে মাহতাব উদ্দিন খান নামে এক যুবক। ছেলেকে মাদকাসক্ত এবং এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে জানিয়েছেন তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমি মো. নুর হোসেন খান।
২৯ আগস্ট রোববার লিখিত বক্তব্যে মো. নুর হোসেন খান জানান, আমার ছেলে মাহতাব উদ্দিন খান গত ২৭ আগস্ট আনুমানিক রাত ১০টার দিকে শহরের মুন্সীবাড়ী এলাকায় ট্রেনের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় পরিবারকে দায়ী করে সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে আমরা খুবই দুঃখ পেয়েছি। আমার ছেলের এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
তিনি আরো জানান, আমার ছেলে দীর্ঘদিন ধরেই নেশাগ্রস্ত ছিল। নেশার টাকা ফুরালেই সে আমাদের ওপর অত্যাচার করতো। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তাই আত্মসম্মানের ভয়ে ছেলের অত্যাচারের কথা কাউকে বলিনি।
তবে এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ৭ মে ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। ডায়েরি নং- ৩১৫। এতকিছুর পরও আমরা ছেলেকে সঠিক পথে নিয়ে আসার অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই একজন পিতা হিসেবে বিষয়টি নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হবার অনুরোধ জানান তিনি।


উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চাঁদপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিবাড়ি এলাকার পূর্বপাশের রেলপথ থেকে মাহতাব উদ্দিন খানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতের অন্ধকারে হওয়ায় এটি আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা তাও নিশ্চিত নয় বলে জানান স্থানীয়রা।
প্রথমে কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে পরবর্তীতে প্রিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করেছে পিবিআই। সে অনুযায়ী তিনি সদর উপজেলার বিষ্ণুদীর ৮নং ওয়ার্ডের মো. নূর হোসেন খান ও হোসনে আরা বেগমের ছেলে মো. মাহতাব উদ্দিন খান।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টায় চট্টগ্রাম থেকে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন চাঁদপুরের উদ্দেশে আসে। ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয় কয়েকজন ওই পথ দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় নিহতের মরদেহের টুকরো টুকরো অংশ রেলপথের বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply