মতলব দক্ষিণে নারীর হাত-পা ভেঙে অমানবিক নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মারধরের বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করার অপরাধে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে সাথী আক্তার (২৬) নামের এক নারীকে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে হাত-পা ভেঙে শারিরীকভাবে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর মতলব পৌরসভার শিলমন্দি গ্রামের প্রধানীয়া বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সাথী আক্তারের পিতার নাম বাবুল প্রধানিয়া। আহত সাথী আক্তার ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, গত কয়েক বছর ধরে একই বাড়ির হালিম প্রধানীয়ার ছেলে সিদ্দিক প্রধানিয়া, হারুন প্রধানীয়া গংদের সাথে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছরে তারা একই ভাবে তাদের পরিবারের উপর এভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে অভিযোগ।
এনিয়ে ভুক্তভোগীরা চাঁদপুর আদালতেও একটি মামলা দায়ের করেছে। আর ওই মামলাকে কেন্দ্র করেই তারা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় সময় সাথী আক্তারের পরিবারের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় এবং তাদেরকে মারধর করে।
গত কয়েকদিন পূর্বে সিদ্দিক প্রধানীয়া তাদের একটি পরিত্যক্ত রান্নাঘর ভেঙে তাদের উপর দোষ চাপিয় মতলব থানায় মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেন। এমন মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী পরিবারও তাদের বিরুদ্ধে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ভিত্তিতে মতলব থানায় বসে তাদের সে বিরোধ মীমাংসা করার কথা ছিলো। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্তরা আহত সাথী আক্তারকে বাড়িতে একা পেয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর এ নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেছে।
সাথী আক্তার আরো জানান, এসময় হামলাকারী সিদ্দিক প্রধানিয়া, হারুন প্রধানীয়, শাহনাজ বেগম, জাহানারা বেগম দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। হামলাকারীরা তারা তাকে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়কভাবে শারীরিক নির্যাতন করে বাম হাত এবং বাম পায়ের হাড় ভেঙে দেয়। এছাড়াও তারা তাকে কাঠ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন আপত্তিকর স্থানে আঘাত করে নীলা ফুলা জখম করেন। যাতে কাউকে সে আঘাতের চিহ্ন না দেখাতে পারেন। এসময় সাথী আক্তারের মেয়ে তাদের হামলার ভিডিও দৃশ্য ধারন করার সময় হামলাকারীরা তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিদ্দিক প্রধানীয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, সে সাথী আক্তার তাদের গরু ঘর মেরামত করার সময় আমি তাকে বাঁধা দিয়েছি এবং তার সাথে আমাদের ঝগড়া হয়। তারপর আমি বাড়ি থেকে চলে এসেছি। এরপর কি হয়েছে আমি তা জানিনা।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার এসআই শামসুদ্দিন জানান, মারধরের ঘটনার বিষয়ে আমি জেনেছি। আহত সাথী আক্তার থানায় এসে তাকে নির্যাতনের চিহ্ন দেখিয়েছেন। আমি আগে তাদেরকে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply