মা ইলিশ রক্ষায় রাত ১২টা থেকে মাছ শিকার নিষিদ্ধ

চাঁদপুর প্রতিদিন রিপোর্ট :
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। যদিও অভিযানকালে চাঁদপুরের ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলে বেকার হয়ে পড়বে। জেলেরা সরকারি সহায়তা বৃদ্ধির দাবি করেছেন।
মা ইলিশ রক্ষায় ইতোমধ্যে মৎস্য বিভাগ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনার মতলবের ষাটনল থেকে চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় মা ইলিশ ডিম ছাড়ে। সেজন্য মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন সময়ে অভিযানে থাকবে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌবাহিনী, র‌্যাব, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ল²ীপুর মডেল ইউনিয়নের জেলে কালু খান ও আমির হোসেন শেখ বলেন, আমরা অভিযানকালে ইলিশ মাছ ধরতে নদীতে নামবো না। তবে আমাদের নৌকায় ৮ জনের মধ্যে জেলেকার্ড আছে একজনের, বাকি ৭ জনের জেলে কার্ড নেই এবং সরকারি কোনো সহায়তাও পাই না। তাই আমাদের সংসার চালাতে গিয়ে একপ্রকার হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের এখানকার জেলেদের অধিকাংশই সরকারি কার্ড ও সুযোগ সুবিধা পায় না। আর যারা ঢাকাতে বিভিন্ন পেশায় আছে, তারা জেলে কার্ড ও সরকারি সুবিধা ভোগ করে থাকে। সরকারি (২০ কেজি চালের) সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করা হোক।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের ইলিশ গবেষক ড. আশরাফুল আলম জানান, গত বছর মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রম সফল হওয়ায় এবার ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। আশা করছি, মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমও সফল করতে সক্ষম হবো। মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রমে বিভিন্ন অভিযানগুলো সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ১৮৩ মেট্রিক টন। যা গত তিন অর্থ বছর গড়ে (প্রতি বছর) প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, নিরাপদে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার লক্ষে বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জেলেদের সাথে সচেতনতামূলক একাধিক সভা সেমিনার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে বরাদ্দকৃত চাল পৌঁছানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তবে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ১ থেকে ২ বছর কারাদÐ কিংবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দÐে দÐ দেওয়ার বিধান রয়েছে।

শেয়ার করুন