সাংবাদিক নেতা ইকরাম চৌধুরী ও শাহ মাকসুদ স্মরণে শোকসভা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রয়াত সাবেক সভাপতি ও চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের নেতা চ্যানেল আই-এর স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর দর্পণের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ইকরাম চৌধুরী এবং যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি সাংবাাদিক শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম স্মরণে দোয়া ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব ভবনে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল-ইমরান শোভনের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস।
সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সংগঠনের সম্মানিত সদস্য গোলাম কিবরিয়া জীবন। পরে শোকসভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ইকরাম চৌধুরী ও শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলমের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবন ও বহু স্মৃতি সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। সেই সাথে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় স্বজনহারা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। শোক সভায় দুই সাংবাদিকের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের সম্মানিত সদস্য আবদুল আউয়াল রুবেল।
সভার প্রধান অতিথি পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল তার বক্তব্যে বলেন, ছোটবেলায় দূর থেকে দেখতাম ইকরাম ভাই খুব সুদর্শন ছিলেন। ইকরাম ভাই ছিলেন সবার কাছে পরিচিত মুখ। তিনি যার যা অবস্থান সেখান থেকে সবাইকে খুব মূল্যায়ন করতেন। কেউ ছোট হলেও সবাইকে তার নিজ নিজ মর্যাদা দিতেন-এটি তার বড় একটা গুণ।
ইকরাম চৌধুরী সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন মেয়র আরও বলেন, অনেক স্মৃতিই আছে। শেষ সময়ে তিনি যখন অসুস্থ, তখন তার বাসায় গিয়েছিলাম- তাকে দেখে মানতে কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু কিডনিজনিত রোগীদের সম্পর্কে আমার আগে থেকেই ধারণা ছিল। কারণ, আমার শ্বাশুড়ি দীর্ঘদিন কিডনী রোগভোগের পর মারা গেছেন। এ রোগটি আসলে ভালো হয় না। ক্রমেই ক্ষয়ের দিকে যায়। বাসায় ইকরাম ভাইকে দেখেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম তার সময় খুব একটা নেই। ভাবতেই খারাপ লাগছিল।
সাংবাদিক শাহ মোহাম্মদ মাকসুদ সম্পর্কে তিনি বলেন, মাকসুদ ভাই ভিন্ন রকমের মানুষ ছিলেন। তার সঙ্গে বনিবনা হওয়াটা একটু কঠিন ছিল। চলনে-বলনে খুব বোল্ডনেস যাদের থাকে তাদের সাথে সবার আসলে বনিবনাটা হয় না।
তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করার কারণে সমাজের সঙ্গতি-অসঙ্গতি- অনেক কিছুর সাথেই জড়িয়ে যাই। সংবাদকর্মীরা যখন তা তুলে আনার চেষ্টা করে তখন এক ধরনের সকল্প ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। সত্য তুলে ধরার কারণে এক ধরনের সম্পর্ক ঘাটতি হলেও আমার সাথে মাকসুদ ভাইয়ের সাথে অসম্ভব ভালো একটা সম্পর্ক ছিল। তিনি আমাকে রাজনৈতিকভাবে সবসময়ই ভালো কিছুর পরামর্শ দিতেন। আমি এ দুই গুণী সাংবাদিকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
তাদের হাত দিয়ে যে ভিত্তি গড়ে উঠেছে তা মজবুত করার চেষ্টা করবো। এ দু’ পরিবারকে আরও কোন সহযোগিতা করার জন্য আপনারা উদ্যোগ নিলে আমিও তাতে চেষ্টা করবো সামিল হতে।
সাংবাদিক নেৃতৃবৃন্দের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্যাহ, সাবেক সভাপতি বিটিভির জেলা প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া জীবন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আরটিভির জেলা প্রতিনিধি শরীফ চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় টিভির স্টাফ রিপোর্টার সোহেল রুশদী, দেশটিভির জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি আবদুল আউয়াল রুবেল, দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি ইব্রাহীম রনি, বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি মোরশেদ আলম রোকন, চাঁদপুর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, নবনির্বাচিত সভাপতি এম এ লতিফ, সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কে এম মাসুদ, মতলব উত্তর প্রেসক্লাব সভাপতি বোরহান উদ্দিন ডালিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাছরাঙা টিভির জেলা প্রতিনিধি মো. নুরুল আলম, এনটিভি’র জেলা প্রতিনিধি মো. হাবিবুর রহমান খান, মোহনা টিভি’র জেলা প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম বাবু, ৭১ টিভির জেলা প্রতিনিধি কাদের পলাশ, বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি ওয়াদুদ রানাসহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সকল পর্যায়ের সদস্য ও নেতৃবৃন্দ।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply