হাজীগঞ্জে এমরান হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে প্রবাস ফেরত স্বামীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ঘাতকের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। শনিবার ১৪ অক্টোবর বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজারে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিহত এমরানের খালার আহাজারিতে আকাশ বাতাশ ভারি হয়ে উঠে। মানবন্ধনে নিহত এমরান হোসেনের একমাত্র ছেলে আফনান (৮) বাবা হত্যার বিচার চান।
জানা যায়,গত ৮ অক্টোবর স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক এমরান হোসেন (৪০) নামের এক প্রবাসীকে জবাই করে হত্যা করে। পুলিশ গত বৃহস্পতিবার ১২ অক্টোবর মামলার প্রধান আসামী আশিক এলাহী বাবু (৩২) কে ঝিনাইদহ থেকে আটক করে। বাবু চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের আজাগরা গ্রামের বাড়ির সৈয়দ মাসুদের ছেলে।
হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ট্রাক রোডের ভাড়া বাসার ৩য় তলায় জবাই করে হত্যা করা হয় সৌদি প্রবাসী মো. এমরান হোসেনকে (৪০)। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের দালাল বাড়ির মো. আবুল বাশারের ছেলে। এই ঘটনার পরে দিন নিহতের বোন রিনা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এমরানের স্ত্রী ফারাজানা বেগম ও তার মাকে আটক করে পুলিশ। পরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফারজানাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের জাখনি গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের মেয়ে। তারা স্বামী-স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র সন্তান নিয়ে হাজীগঞ্জে ঐ ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
মামলার বাদী রিনা বেগম জানান, ভাবির (এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারজানা বেগম) সাথে তার পরকীয়া প্রেমিক সৈয়দ আশিক এলাহী বাবুর দীর্ঘদিন প্রেম ছিল। এঘটনায় পারিবারিকভাবে শালিসি বৈঠক ও থানায় অভিযোগ হওয়ার পরে ভাবি ও তার পরিবার ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে ভাবি এমন কাজ করবেনা বলে জানান। একমাত্র ছেলের কথা ভেবে ভাইও তাকে ক্ষমা করে স্ত্রী হিসেবে ফারজানাকে ঘরে তুলে নেবার কিছু দিনের মধ্যে হত্যার শিকার হন এমরান। এ মামলায় ফারজানার মা ও বোনকে আসামী করা হয়েছে।
সম্প্রতি আমার ভাই ছুটিতে দেশে এলে ভাবি ও তার প্রেমিক দুইজনে মিলে পরিকল্পিতভাবে ভাইকে জবাই করে হত্যা করে। এর সাথে জড়িত ভাবির মা ও বোন। ভাবির বোনের চাচাতো দেবর হলেন, সৈয়দ আশিকে এলাহি বাবু।

শেয়ার করুন