চাঁদপুরে এইচএসসিতে কমেছে জিপিএ-৫ ও পাসের হার

* পাসের হার ৮৪.৬৫, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২৪ শিক্ষার্থী

ছবি  : এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত ড. মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজের পরীক্ষার্থীরা। 

ইব্রাহীম রনি :
চাঁদপুরে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬৭ কলেজের ১৬ হাজার ২১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩ হাজার ৭২২ জন। কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৪৫৮ জন এবং ছাত্রী রয়েছেন ৮ হাজার ২৬৪ জন। জেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় শতকরা পাসের হার ৮৪.৬৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২৪ জন পরীক্ষার্থী। যা গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধেকেরও অনেক কম। সেই সাথে কমেছে পাসের হারও।
যদিও এ বছর এইচএসসিতে বোর্ডের ৬টি জেলার মধ্যে পাসের হারে প্রথম স্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা। আর ৮২.৫৪ শতাংশ পাস করায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুমিল্লা জেলা এবং ৬৮.৯২ শতাংশ পাস নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা।
এদিকে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে বরাবরের মতো কুমিল্লা জেলা রয়েছে সবার উপরে। এ জেলা থেকে ৩৯ হাজার ৬৫৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩৮৭ জন। আর ১৬ হাজার ২১১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮২৪ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় চাঁদপুর জেলা কুমিল্লা বোর্ডে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এছাড়া ৪৬৯ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বোর্ডে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে হাইমচর উপজেলা। হাইমচর উপজেলায় এবার এইচএসসিতে পাসের হার ৯৫.৮২ শতাংশ। ৯৩.২৭ শতাংশ পাস করায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শাহরাস্তি উপজেলা এবং ৯২.৭১ শতাংশ পাস নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কচুয়া উপজেলা।
এদিকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ৪৩২ এ প্লাস নিয়ে শীর্ষে রয়েছে যথারীতি চাঁদপুর সদর উপজেলা, ১৯০ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় জেলায় দ্বিতীয় স্থানে কচুয়া উপজেলা এবং ৮৯ শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলা।
উপজেলাওয়ারী প্রাপ্ত ফলাফলের হিসাবে দেখা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩টি কলেজ থেকে ৩ হাজার ৫৯০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৩ হাজার ১৮৯ জন। পাসের হার ৮৮.৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৪৩২ জন পরীক্ষার্থী।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮টি কলেজ থেকে ১ হাজার ৯৪৪ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ১ হাজার ৫১৯ জন। পাসের হার ৭৮.১৪ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন পরীক্ষার্থী।
কচুয়া উপজেলার ৯টি কলেজ থেকে ২ হাজার ১৩৯ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ১ হাজার ৯৮৩ জন। পাসের হার ৯২.৭১ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯০ জন পরীক্ষার্থী।
শাহরাস্তি উপজেলার ৬টি কলেজ থেকে ১ হাজার ৪৪২ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ১ হাজার ৩৪৫ জন। পাসের হার ৯৩.২৭ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৭টি কলেজ থেকে ১ হাজার ১৭৪ জন পরীক্ষার্থীতে এইচএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৮৬৯ জন। পাসের হার ৭৪.০২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন পরীক্ষার্থী।
মতলব উত্তর উপজেলার ১২টি কলেজ থেকে ২ হাজার ৫৪৫ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ২ হাজার ৮২ জন। পাসের হার ৮১.৮১ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩ জন পরীক্ষার্থী।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯টি কলেজ থেকে ২ হাজার ৮২৭ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ২ হাজার ২০৮ জন। পাসের হার ৭৮.১০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৯ জন পরীক্ষার্থী।
হাইমচর উপজেলার ৩টি কলেজ থেকে ৫৫০ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৫২৭ জন। পাসের হার ৯৫.৮২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন পরীক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, গত বছর চাঁদপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬৩ কলেজের ১৭ হাজার ৬১৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয় ১৭ হাজার ২৯৫ জন। শতকরা পাসের হার ছিল ৯৮.১৮ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পান ২ হাজার ২০৮ জন পরীক্ষার্থী।

 

শেয়ার করুন