সচেতন হই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাই
ইলা ইয়াছমিন ::
সন্তানদের উজ্জ্বল সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর মূলত কারা? নিশ্চয়ই বাবা মা!
প্রশ্ন হচ্ছে, প্রযুক্তির এই সময়ে সন্তানদের কতখানি খবর রাখছেন বাবা-মায়েরা? রাত জেগে ওরা কি করে! কিসের নেশায় মত্ত থাকে! আজকাল খেলাধুলার মাঠ গুলো ফাঁকা। খেলাধুলা করার ইচ্ছে জাগে না তাদের মধ্যে। তাদের ইচ্ছা শক্তি কোন কাজে ব্যবহার করছে? ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে কোথায় তলিয়ে যাচ্ছে ওরা!!?
এই সব চিত্র এক ভয়ঙ্কয় বার্তা দিচ্ছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেমন হবে তার চিত্র একেঁ ফেলা এখন কঠিন কিছু নয়। অসুস্থ মানসিকতা নিয়ে বড় হচ্ছে এক ঝাঁক তরুন প্রজন্ম। মোবাইল ফোন কেড়ে নিচ্ছে তাদের সুস্থ সুন্দর হাস্যজ্জ্বল জীবন। ঘরে ঘরে বৈচিত্র্যময় অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে চলেছে অহরহ। এ যেন এক ভয়ঙ্কর মহামারি। কিছু সংখ্যক বাবা- মা বাচ্চাদের অস্বাভাবিক আচরণ বুঝতে পারলেও তাদের কন্ট্রোল করা দুঃসাধ্য হয়ে পরেছে। কোন উপায়ে সন্তানদের কন্ট্রোল করবে, কোন প্রক্রিয়ায় করবে সেই উপায় জানা নেই। বাচ্চারা বর্তমান প্রযুক্তির অপ-ব্যবহারের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। এটা একটা ভয়ঙ্কর ভাইরাস। প্রায় বাচ্চারা ভাইরাসে আক্রান্ত। বে-খবর বাবা মা। ওনারা পরে আছে প্রযুক্তির আগের জীবনে। যে কোন প্রযুক্তিরই ভালো মন্দ দুটো দিক থাকে। আমাদের দুটো দিক সম্পর্কেই জ্ঞান রাখতে হবে। সময়ের কাল পরিক্রমায় সংস্কৃতি- অপসংস্কৃতি, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, অপ-ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। পিছিয়ে থাকলে চলবে না।
আপন ফাউন্ডেশন শুধু বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ নয় বাবা মায়েদের মানসিক পরিবর্তন নিয়েও ভাবছে। ওনাদের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করার লক্ষে দেশ ব্যাপী কার্যক্রম করে যাচ্ছে নিরলস ভাবে। আপনার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত আপনার হাতে। নিজে সচেতন হোন অন্যকে সচেতন করুন। একটি সুস্থ সমাজ গঠনে সমাজের প্রতিটি মানুষের ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে দ্বায় বদ্ধতা রয়েছে।
সাথে রয়েছে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ” আপন ফাউন্ডেশন” মানুষের সেবাদানে বদ্ধপরিকর।