হাজীগঞ্জে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে শিক্ষার্থীর অনশন
শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে এক শিক্ষার্থী অনশন করছেন। শুক্রবার দুপুর থেকে ওই শিক্ষার্থী স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গন্ধ্যবপুর দক্ষিন ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের তাহের চৌধুরীর মেজো ছেলে মোঃ রাকিব চৌধুরী একই ইউনিয়নের হোটনী গ্রামের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাকে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করেন। নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে বিয়েটি সম্পূর্ণ হয়। বিয়েতে ২লাখ ৩০ হাজার টাকা কাবিন করা হয়।
শুক্রবার দুপুর থেকেই ফাতেমা রাকিবের ঘরে অনশন করছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফাতেমা অনশনে আছেন।
ফাতেমা দেশগাঁও ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে হাজীগঞ্জ উপজেলার হোটনী গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তারের মেয়ে।
রাকিব চৌধুরী একই কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। সে দেশগাঁও জয়নাল আবেদিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তাহের চৌধুরীর মেজো ছেলে।
ফাতেমা জানান, চলতি মাসের ১৪ তারিখ চাঁদপুর নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে রাকিব আমাকে বিয়ে করে। ১৫ তারিখ হাজীগঞ্জ বাজারের আল মদিনা হোটেলে বসে তার বাবা মা আমার সাথে কথা বলে। তখন তারা আমাকে বলে কয়েকদিনের মধ্যে আমার পরিবারের সাথে কথা বলে আমাকে তাদের বাড়িতে তুলে নিবে। কিন্তু দুইদিন পরেই আমাকে তালাকের কাগজ পাঠায়। আমি কয়েকভাবে যোগাযোগ করেও তাদের কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। কোন উপায় না পেয়ে আমি বুধবার ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করি। পরে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করায়। আজ আমি আমার স্বামী রাকিবকে খুঁজতে তার বাড়িতে আসি। আমি রাকিবকে ছাড়া এখান থেকে যাবো না।
এদিকে মেয়ের অবস্থান দেখে রাকিব ও তার বাবা তাহের চৌধুরী বাড়ি থেকে লাপাত্তা হয়ে যায়।
রাকিবের মা শিরিন চৌধুরী জানান, আমার ছেলে নাবালক। রাকিবের সাথে আজ দুইদিন আমাদের যোগাযোগ নেই। আমার স্বামী চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু জানান, মেয়ের পক্ষ আমার কাছে এসেছিলো। আমি থানায় যোগাযোগ করলে, থানা থেকে পুলিশ এসে দু পক্ষকে সময় বেঁধে দিয়েছে। আমরাও তাদের দুইদিন সময় বেঁধে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো: রাশেদুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা খোঁজ খবর রাখছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবাইর সৈয়দ জানান, অনশনের কথা শুনে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। দুপক্ষের দাবিতে তাদেরকে কিছু সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সমঝোতা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।