১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউপিতে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা এড. গোলাম কাউছার শামীম

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চাঁদপুরের জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১/১১’র শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনের অগ্রনায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা এড. গোলাম কাউছার শামীম।

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলে নৌকা প্রতীকের মাঝি হয়ে ওই পদে লড়তে চান তিনি। এরই মধ্যে দিন-রাত ইউনিয়নের প্রতিটি ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনি প্রচারণাও চালাচ্ছেন তিনি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দলমত নির্বিশেষে ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের মুখে সমাজসেবক এড. গোলাম কাউছার শামীমের নাম উল্লেখযোগ্যভাবে শোনা যাচ্ছে। এ বারের নির্বাচনে ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা থাকলেও প্রচারণায় এগিয়ে এড. গোলাম কাউছার শামীম।

তারা জানান, প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে নৌকার মনোনয়নের শীর্ষে রয়েছেন ১/১১’র শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনের অগ্রনায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা এড. গোলাম কাউছার শামীম।

এ ছাড়া ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে এড. গোলাম কাউছার শামীম দীর্ঘদিন ধরে গরিব-দুঃখী মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। কাজেই সাধারণ জনগণ চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে তার মতো একজন সৎ, যোগ্য, ত্যাগী, গ্রহণযোগ্য ও দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিকেই চেয়ারম্যান হিসাবে দেখত চায়।

সাবেক ছাত্র নেতা এডভোকেট মো. গোলাম কাউছার শামীম। ১৯৯৫ সালের হাজীগঞ্জের রাজপথ কাঁপানো ছাত্রনেতা। দলের জন্য রয়েছে তার কঠিন ত্যাগ। রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন জোরালোভাবে।

সাবেক ছাত্রনেতা এড. গোলাম কাউছার শামীম ৩ জানুয়ারি ১৯৮০ সালে ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের নোয়াপড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা মৃত আ. রশিদ ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা।

সাবেক ছাত্রনেতা এড. গোলাম কাউছার শামীম’র আপন চাচা মোরশেদ আলম, আমেরিকার-if life civic and political activist, fighting For new American, Rights USA – প্রধান। তিনি ইউএসএ-তে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংগঠন সংগঠিত করেন।

তার আরেক চাচা ডা. গোলাম মোস্তফা কাঞ্চন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং ইউএসএ-তে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন।

তার আরেক চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. মালেক পাটওয়ারী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা। ছোট চাচা ঢাকা ওয়াসার সাবেক প্রকৌশলী।

এডভোকেট মো. গোলাম কাউছার শামীম চাঁদপুর জেলা জজ কোটের একজন সুনাম ধন্য আইনজীবি এবং সরকারি আইন কৌশলী (এ.পি.পি)।

তিনি চাঁদপুরের এম এম নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সিনিয়র শিক্ষক, চাঁদপুর জেলা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সাবেক রার্নিং অডিটর (২০১৬), সাবেক সম্পাদক লাইব্রেরী (২০১৭), একই পদে ২০১৮ সালেও দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত হাজীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০০০-২০০২ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা। সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আশিকাটি ইউনিয়ন শাখা, চাঁদপুর সদর।

এডভোকেট মো. গোলাম কাউছার শামীম বর্তমানে চাঁদপুর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য এবং সরকারি সহকারি আইন কৌশলী (এ.পি.পি) এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।
১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশে এডভোকেট মো. গোলাম কাউছার শামীম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আমি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে অংশীদার হতে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে দীর্ঘদিনের অবহেলিত ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাব।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ইচ্ছে নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচিত হলে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন উপহার দেব এলাকাবাসীকে।
আমি এলাকার জনগণের সুখে দুঃখের সাথী হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমি নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তিনি আরো বলেন, উন্নয়নই আমার মূল লক্ষ্য। আমি নির্বাচিত হলে অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করব। দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাসসহ সব অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব।’
এডভোকেট মো. গোলাম কাউছার শামীম জানান, জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪০ বাস্তবায়ন এবং গ্রাম হবে শহর এরই আলোকে আগামীতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নতুনদের সুযোগ সৃষ্টি করার কথা হয়েছে। নতুনরা যদি নৌকার মনোনয়ন পায় তাহলে দল গতিশীল হবে, ইউনিয়ন পর্যায়ে উন্নয়ণের ছোয়া লাগবে। নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি গ্রাম হবে, শহর এ গ্রামকে শহর করতে হলে নবীনদের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আমার পরিবারের সদস্যবৃন্দ আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। আমার পরিবারের অনেক সদস্য রয়েছেন যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমার মরহুম চাচা আবদুল হালিম পাটওয়ারী অবিভক্ত হাটিলা ইউনিয়নে ২’বার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন।

তিনি বলেন, ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে আমি দীর্ঘ ধরে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদী। তারই আলোকে এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে বাড়ীতে গণসংযোগ করে আসছি।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন চাইব-ইনশাআল্লাহ দল আমার কর্মকাণ্ড দেখে অবশ্যই আমাকে নৌকার মনোনয়নপত্র প্রদান করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply