২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে : জেলা প্রশাসক
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স :
২০ ও ২১ নভেম্বর চাঁদপুর স্টেডিয়ামে মেলা, থাকবে ৭০টি স্টল
আলমগীর হোসেন পাটওয়ারী :
দুইদিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০২২ এবং উদ্ভাবনী অলিম্পিয়ার্ড উদযাপন উপলক্ষে গতকাল ১৬ নভেম্বর বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আগামী ২০ ও ২১ নভেম্বর চাঁদপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রেস কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় প্রযুক্তিবান্ধব নানা উদ্ভাবন ও সেবা তৈরির মাধ্যমে ইতিমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ২০৩০ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশকে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মডেল এসডিজি রাষ্ট্র এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, প্রযুক্তিবান্ধব নানা উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাগরিক জীবনকে আরো সহজ, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট করে গড়ে তুলতে সারাদেশের উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী সক্ষমতা দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে দেশব্যাপী আয়োজন করা হচ্ছে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০২২ এবং উদ্ভাবনী অলিম্পিয়াড। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্ভাবনের মাধ্যমে আগামীর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটিন ) বশির আহমেদের আহমদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলনের সঞ্চালনায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী ও শরীফ চৌধুরী, সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন শান্ত। এ সময় সকল দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা এবং উদ্ভাবনী অলিম্পিয়াড উদযাপন / বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকে চাঁদপুর স্টেডিয়াম পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে চাঁদপুর স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে দুইদিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণ ৪ টি প্যাভিলিয়নে ভাগ করে ক্যাটাগরী ভিত্তিক ৭০ টি স্টল স্হাপন করা হবে।
ক) প্যাভিলিয়ন – ( ১) উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্ট আপ ঃ অংশগ্রহণ করবেন – প্রত্যেক উপজেলা থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উম্মুক্ত পর্যায়ে উদ্ভাবনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী ১ম স্থান, ২য় স্থান ও ৩য় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী ও/শিক্ষার্থীদের দল।
খ) প্যাভিলিয়ন – (২) ডিজিটাল সেবা ঃ জেলা পর্যায়ের প্যাভিলিয়ন সকল দপ্তর তাঁর স্ব- স্ব ডিজিটাল সেবা তুলে ধরবেন।
গ) প্যাভিলিয়ন – (৩) ঃ হাতের মুঠোয় সেবা ঃ ডিজিটাল সেন্টার, পোস্ট ই- সেন্টার, ই- কমার্স, ব্যাংক, বীমাসহ অন্যান্য আর্থিক সেবাপ্রদানমূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ।
ঘ) প্যাভিলিয়ন – (৪) ঃ শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃজনে সম্পৃক্ত দপ্তরসমূহে প্যাভিলিয়নে অংশগ্রহণে থাকবেন।