এ জাতিকে জাগ্রত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান :  নাছির উদ্দিন আহমেদ

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা
: নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে নানা কর্মসূচির ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উদযাপন পালন করা হয়েছে। দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় সম্মুখে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।
এরপরই চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রব ভূঁইয়া, আব্দুর রশিদ সর্দার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল আমিন সরকার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজী, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য অ্যাড. জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, যুব লীগের আহবায়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া।
নাসির উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ৭ মার্চ আমাদের বিশাল একটি ঐতিহ্য। বাঙ্গালী জাতি ছিলে পরাধীন ছিলো। এ জাতিকে জাগ্রত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এ জাতিকে জাগ্রত করতে বঙ্গবন্ধু অনেক ত্যাগ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষন জাতিসংঘের ঐতিহ্য স্থান পেয়েছে। সেই ভাষনের ডাকে সারা দেশের জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিলো এবং বাংলার স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছিলো। জাতির পিতার ভাষনের কারণে আমরা একটি স্বাধীন মানচিত্র ফিরে পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। এ দেশকে উন্নয়নের চূড়ায় নিতে ঐক্যবদ্ধের কোন বিকল্প নেই। চাঁদপুরে আওয়ামী লীগ থাকবে এক এবং এক থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো।
মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বক্তব্যে বলেন,আজকে বাঙ্গালী জাতির অস্তিত্বের দিন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনের মাধ্যমে তিনি বাঙাল জনগণকে একত্রিত করেছিলেন। এনে দিয়েছেন বাঙলার স্বাধীনতা। জাতির পিতা সবসময়ই সাধারণ জনগনের কথা চিন্তা করেছিলেন। সাধারণ জনগন যেন ভালো থাকে সে চিস্তাই সবসময় করেছেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন মোঃ বাবর, পৌর আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পারভেজ করিম বাবু, ছাত্রনেতা ওমর ফারুক, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ, মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রানু বেগম, মৎসজীবী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক দেওয়ান, ছাত্রনেতা মাসুদুর রহমান পলান প্রমূখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply