চাঁদপুরে লকডাউনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ-প্রশাসন

আশিক বিন রহিম :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও লকডাউন সফল করতে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ কার্যকর শুরু হয়েছে। গত দুই দিন ধরে সরকারি এই বিধিনিষেধ কার্যকরে কঠোর ভূমিকা পালন করছে চাঁদপুরের প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ।
১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের শপথ চত্বর মোড়ে, পালবাজার মোড়, মিশন রোড়, ছায়াবানি মোড়, কুমিল্লা রোড়, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর তৎপরাতা দেখা গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করে চলাচল কারীদের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্নস্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে একসপ্তাহের লকডাউন বাস্তবায়নে মাছ-তরকারির বাজার খোলা মাঠে সম্প্রসারণ হয়েছে কি না তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার)। বুধবার সকালে তারা স্বশরীরে শহরের পালের বাজারে গিয়ে এই বাজারের ব্যবসায়ীদের উদাসিনতা দেখে হতাশা ব্যক্ত করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বাজারের সকল মাছ- তরকারি ও মাংসের দোকারগুলো পূর্ব নির্ধারিত পাল বাজারে স্থনান্তর করতে ৩০ মিনিটের আল্টিমেটাম দেন।
তারা জানান, যারা খোলা মাঠে দোকান নিবে না, তাদের দোকান বন্ধ থাকবে। কেউ যদি এ সিদ্ধান্ত না মানে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের শান্তি শৃঙ্খলার কথা চিন্তা করতে হবে। সবাইকে সাবধান এবং নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে।
পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) বলেন, আমরা এই মানবিক বিপর্যয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আশা করছি করোনা পরিস্থিতা সামাল দিতে সরকার যে সকল নির্দেশনা দিয়েছে তা সকলেই পালন করবেন। কেউ যদি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করেন তবে আমরাও কঠোর হতে বাধ্য হবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুৃরিশ সুপার (হেডকোয়াটার) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার, চাঁদপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত : মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়,
শহরের পাল বাজারের তরকারি ও মাছের দোকান বসবে পাশ্ববর্তি পৌর ঈদগাহ মাঠে, বিপনীভাগের তরকারি ও মাছের দোকান বসবে পাশ্ববর্তী সরকারি কলেজ মাঠে, ওয়ারল্যাছ বাজারের তরকারি ও মাছের দোকান বসবে পাশ্ববর্তী রাস্তার দুই পাশে, আর বাবুরহাট বাজারের তরকারি ও মাছের দোকান বসবে পাশ্ববর্তী বাবুরহাট কলেজ মাঠে। প্রতিটি দোকান ৩ফুট দূরত্বে বসবে। এই নিয়ম সকলকেই মানতে হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply