চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে সৌহার্দ্যের দৃষ্টান্ত রাখল আ’লীগ-বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে সৌহার্দ্য স্থাপনে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়রপ্রার্থী। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ সময় প্রধান দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই প্রার্থী একসঙ্গে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শোডাউন করেন।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই প্রার্থী হচ্ছেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল এবং বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের আকতার হোসেন মাঝি। সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং আলোচিত এমন বিরল ঘটনার সময় তাদের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এবং সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চির প্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রধান দলের নেতাকর্মীদের সহাবস্থানের এমন অচেনা দৃশ্য দেখে সড়কের পাশে দাঁড়ানো অনেকেই অবাক হয়ে যান।
এদিকে, শুক্রবার জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এমন সংবাদ পেয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হন। এসময় সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া। কিন্তু উপস্থিত শীর্ষ নেতা ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
একপর্যায়ে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়রপ্রার্থী দু’জন একসঙ্গে হাতে-হাত রেখে সড়কে নেমে আসেন। পরে তাদের দেখে অন্যরাও তাতে যোগ দেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুব অতীত ইতিহাসে চাঁদপুরে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে সৌহার্দ্যের এমন নানন্দিক দৃশ্য কেউ দেখেননি।
আগামী ১০ অক্টোবর চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী সফিকুর রহমান ভূঁইয়ার মৃত্যুতে এই নির্বাচন ঝুলে পড়ে।
তবে নতুন করে তফসিল ঘোষণার পর শুধুমাত্র মেয়র পদে মনোনয়ন দাখিল করেন বিএনপির প্রার্থী আকতার হোসেন মাঝি। এতে এই নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে শতাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ভোট গ্রহণ হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। অন্যদিকে, প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রচার প্রচারণা শুরু করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply