চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামরুজ্জামান চৌধুরীর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, চাঁদপুরের সর্বজনশ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ও ক্রীড়াবিদ আলহাজ্ব কামরুজ্জামান চৌধুরীর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের ৩০ মার্চ তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন পুত্র সন্তান রেখে যান। তার ছোট ছেলে ইমরান চৌধুরী কিছুদিন আগে মারা যান।

কামরুজ্জামান চৌধুরী ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি দি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকায় কাজ করেন। তিনি দীর্ঘদিন এই পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। সর্বশেষ তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি সান’ পত্রিকার চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।

কামরুজ্জামান চৌধুরী চাঁদপুর প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন এই প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব অত্যন্ত সুনাম ও সততার সাথে পালন করেন। এছাড়া তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক, কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ক্রীড়া অফিসার ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আলহাজ্ব কামরুজ্জামান চৌধুরী চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা মোড় সংলগ্ন শহীদ রেহানবাগ সড়কে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। চাঁদপুরের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন চাঁদপুর জেলা শহরের একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তার পৈত্রিক নিবাস ছিল কুমিল্লায়।

চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা জানান, প্রতিবছর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামরুজ্জামান চৌধুরী স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। তবে এবার কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রেসক্লাবের সকল মরহুম/প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে রমজান মাসে বার্ষিক স্মরণসভা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। মরহুম কামরুজ্জামান চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনায় তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি চাঁদপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দৈনিক সমকালের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী প্রয়াত কামরুজ্জামান চৌধুরীকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, প্রয়াত কামরুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকতায় একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর সান্নিধ্য আমি পেয়েছি আমার সাংবাদিকতার যাত্রা পথ থেকে। চাঁদপুর প্রেসক্লাব গড়ার ক্ষেত্রে কামরুজ্জামান চৌধুরীর অনন্য অবদান অনন্য ইতিহাস। তিনি শুধু সাংবাদিকদের নেতা বা অভিভাবকই ছিলেন না, চাঁদপুরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রায় সকল কর্মকান্ডের সাথে তিনি জড়িয়ে ছিলেন। ক্রীড়ায় তার অবদান অনেক। তাঁর শূন্যতা পূরণ হবার নয়। একজন, সৎ, মৃতভাষী কামরুজ্জামান স্যার আমার বা আমাদের জন্য আদর্শ। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুণ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply