চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা পেলেন পর্যবেক্ষণ কার্ডের ফটোকপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া পৌরসভা নির্বাচনে সাংবাদিকদের দেওয়া হয়েছে পর্যবেক্ষণ কার্ডের ফটোকপি। তবে কিছু অখ্যাত অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব ও চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম নেতারা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণ কার্ডের জন্য কাগজপত্র তথা সাংবাদিকদের তালিকা চাইলে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে যথা নিয়মে এ তালিকা বিকেলের মধ্যেই জেলা নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়া হয়। সেই সাথে তিনি আশ্বাস দেন সন্ধ্যার মধ্যেই কার্ডগুলো দিয়ে দিবেন।
“কিন্তু জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচনের দিন সকাল ৯টায় অফিসের পিয়নের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণ কার্ডের ফটোকপি কার্ড প্রদান করেন। যার সবগুলোই ছিল ফটোকপি। বিষয়টি অত্যন্ত আপত্তিকর ও নিন্দনীয়। আমার ৩০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে এমন ঘটনা আর ঘটেনি।”
চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন বলেন, যারা নামকরা জাতীয় মিডিয়াগুলোতে কাজ করেন তাদের ফটোকপি করা পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হয়েছে। আর সরকারের তালিকায় নেই এমন অনেক ভুঁইফোঁড় মিডিয়া পরিচয়দানকারীদের নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হয়েছে। “জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার এমন আচরণের কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। নির্বাচন অফিসে কি সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণ কার্ডে অভাব পড়েছে? এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।”
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তোফায়েল হোসেন বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে দেরি করে সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণ কার্ডের জন্য আবেদন করা হয়। এতে করে সময় সল্পতার কারণে ফটোকপি করে পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল বাতেন বলেন, “এটা করার কথা নয়। তবে কাজটি তিনি ভালো করেননি। এই বিষয়ে আমি তার সাথে কথা বলব।”

শেয়ার করুন

Leave a Reply