চাঁদপুর মেঘনায় ইলিশ শিকারে গিয়ে নিখোঁজ জেলের লাশ মিললো ২ দিনপর

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে বেপোরোয়া ভাবে মা ইলিশ নিধন করছে জেলেরা। অভয়াশ্রমেরর এই নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে সুলতান (৪০) এক জেলে নিখোঁজ হয়ে। ১৯ অক্টোবর সোমবার দিনগত গভীর রাতে পুরাণবাজার হরিসভা রণাগোয়াল এলাকা দিয়ে মাছ ধরার সময় দুটি জেলে নৌকার মুখোমুখী সংঘর্ষ হলে ওই জেলে তাদের নৌকা থেকে নদীতে ছিটকে পড়ে যায়। ২ দিন পর বুধবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ জেলের লাশ পাওয়া যায়। লাশ বাড়িতে আনলে পরিবারের কান্নায় এক হৃদয়বিধায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ঘটনাটি প্রশাসনকে না জানিয়ে লাশ দাফন করার চেষ্টা চলছে জানা যায়। হচ্ছে না।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই পশ্চিম শ্রীরামদী হরিসভা ও মধ্যশ্রীরামদী মহল্লায় মানুষের মুখে মুখে আলোচনা ইলিশ ধরতে গিয়ে নদীতে একজন ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ ওই জেলের বাড়ি শহরের পুরাণবাজার মধ্য শ্রীরামদী সরকারি পুকুর পাড় এলাকার কালুর বাড়ির ভাড়াটিয়া। জনৈক সাজুর নৌকার জেলে ছিল সে। তার তিনটি নাবালক সন্তান রয়েছে। অনেকে যখন রাতের অন্ধকারে চুরি করে ইলিশ শিকার করছে। তখন প্রতিবেশীদের সাথে সেও মাছ ধরার জন্য নদীতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়।
এদিকে এলাকা সূত্রে জানা যায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে মধ্যে হরিসভা এলাকা দিয়ে বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা শাহাদাত পাটোয়ারী, রণাগোয়াল ও বাবুর্চি ঘাট খালের মৎস্য আড়তদার স্থানিয় যুবলীগ নেতা রফিক শেখ এবং বিএনপির যুবদলের সাবেক ওয়ার্ড নেতা শাহজাহান গাজী গংরা অবৈধ টাকা কামানোর জন্য স্থানিয়ভাবে লোভী জেলেদের নদীতে পাঠাচ্ছে। তাদের মদদে অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছে নিরীহ এক জেলেকে। এখন নিখোঁজ জেলে পরিবারের মাঝে নিরব কান্নার মাতম চলছে। এ মৃত্যুর জন্য দায়ি কারা? তাদের কাছ থেকে পাবে কি অসহায় পরিবারটি ক্ষতিপূরণ।
এ ব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের দৃস্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply