দেশের বিভিন্ন শহরে ফ্ল্যাটে বাড়িতে চুরি করতো তারা, চাঁদপুরে আটক

আশিক বিন রহিম :
তারা একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র। তাদের কাজ হলো দেশের বিভিন্ন জেলা শহর ঘুরে ঘুরে ফ্লাটে, বাসা-বাড়িতে চুরি করা। এজন্যে প্রত্যের জেলায় রয়েছে তাদের শক্তিশালী সোর্স, নেটওয়ার্ক। স্থানীয় এই সোর্সদের কাজ হলো বিভিন্ন ফ্লাটে, বাসা-বাড়ি কোন পরিবার বেড়াতে গিয়েছে, কোন পরিবারে পরুষ কম থাকে, কোন ঘরের জানালা, দরোজা কতগুলো এবং কখন চুরি করার মোক্ষম সময়। স্থানীয় সোর্সদের দেয়া এমনসব তথ্যের উপর ভিত্তি করেই চোর চক্রটি একেকটি বাসা- বাড়িতে চুরি ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
এমনি একটি আন্তঃ জেলা চোর কক্রের ৫ সদস্যেকে পৃৃথক অভিযান চালিয়ে আটক করেছে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। ২৯ মার্চ সোমবার রাতে চাঁদপুর ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন, করাটিতোলা যাত্রাবাড়ি এলাকার হাড্ডি হিমু (২২), আরিফ হোসেন (২০), কামাল খন্দকার (১৯), উদ্দমগঞ্জ সোনারগাঁও এলাকার সিফাত আহমেদ রাসেল (২৩), কুমিল্লা দাউদকান্দি নয়ননগর এলাকার ইমন হোসেন (২০)। তবে চোর চক্রের মূল হোতা কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার বলিয়াদী গ্রামের রফিকুল হাসানের ছেলে ইফতেখারুল হাসান সাঈদ (২৪) কে যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ আটক করে। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে।
৩০ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার।
প্রেস বিফিং কালে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, চাঁদপুর শহরে ইদানিং দিনে দুপুরে বেশ কয়েকটি বাসা বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। তারই সূত্র ধরে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) চোর চক্রটিকে আটক করতে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশীদকে দিক নির্দেশনা প্রদান করের। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া ও উপ পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান অধুনি প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর চক্রের সদস্যদের সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া ও উপ পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান এবং আওলাদ হোসেন সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে গত ২৮ মার্চ রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানার করাটিতোলা এলাকায় অভিযান চালায়। সফর সে অভিযানে চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৫ ফেব্রুয়ারী এবং ৩০ মার্চ চাঁদপুর সদর মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং-২৮ ও ৬৯।
অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার জানায়, গত ২৯ মার্চ রাতে চাঁদপুর শহরের পালকী হোটেল থেকে আসামী কামাল ও আরিফকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হিমু, রাসেল ও ইমনকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। আরিফ ও ইমনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এবং ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৫টি এবং হাড্ডি হিমুর বিরুদ্ধে ৭টি মামলা রয়েছে। তিনি আরো জনান আমাদের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
ভূক্তভোগী মমিনপাড়া এলাকার সালাউদ্দিন জানায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারী হাজেরা নিবাসের ৪র্থ তলার ভাড়া বাসা থেকে ১৮ ভরি স্বর্ণ, নগদ আড়াই লক্ষ টাকা ও ২টি ক্রেডিট কার্ড নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী জোড়পুকুর পাড় এলাকার পারভেজ ভূঁইয়া রাজু জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী সিরাজ খানের ৫তলা ভাড়া বাসা থেকে ১০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply