প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মরণোত্তর দেহদান করলেন চাঁদপুরের ১০ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মরণোত্তর অঙ্গ ও দেহদানের অঙ্গীকার করেছেন চাঁদপুরের ১০ জন। এফিডেভিটের মাধ্যমে তারা তাদের অঙ্গ ও দেহদানের অঙ্গীকার সম্পন্ন করেছেন। চাঁদপুরের রক্তদান ও সামাজিক সংগঠন ‘জীবনদীপ’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা এই অঙ্গীকার করেন।
তারা হলেন- চাঁদপুরের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা লীলা মজুমদার, তার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বাসুদেব মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, তার স্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের শব্দসৈনিক ও সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণা সাহা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা শোভা রাণী বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক কর্মী সোহেল আহমেদ ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী কানু দেবনাথ, সুইট হোমের মালিক সাগরিকা মজুমদার, কৃষ্টক্যাপের স্বত্বাধিকারীর স্ত্রী হ্যাপি রানি সাহা ও শিখা চক্রবর্তী।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন এবং ১০ ব্যক্তি মরণোত্তর অঙ্গ ও দেহদান উপলক্ষে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকতা ও আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম জিয়াউর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম জিয়াউর রহমান বলেন, বর্তমান সময়ে আমরা শুধু নিজেকে নিয়ে বেশি চিন্তা করি। অপরের চিন্তা করি না। আজকে যারা মরণোত্তর অঙ্গ ও দেহদানের অঙ্গীকার করলেন, তারা অপরের কথা চিন্তা করেন। চিন্তা করেন বিধায় তারা নিজের প্রিয় জিনিসগুলো দান করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জীবনদীপ নামে এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা যিনি তিনি প্রথম থেকেই মানুষের কথা চিন্তা করে রক্তদান করেছেন। রক্তদান করা বর্তমানে কোনও ভয়ের কিছু না। কিন্তু যারা মৃত্যুর পরে নিজেদের অঙ্গগুলো দান করেছেন, সেখানে অনেক কিছুর ব্যাপার থাকে। যারা নিজের অঙ্গদান করেছেন তারা মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাদের দেখাদেখি আমরাও অনুপ্রাণিত হবো। তিনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ হায়াত ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
এ বিষয়ে জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার বলেন, যারা মরণোত্তর অঙ্গ ও দেহদান করবেন তারা সবাই আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে আমরা শুভ কাজটি করেছি। যেমন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে কেউ রক্তদান করেন, কেউ অসহায় মানুষজনকে খাওয়ান। তেমনই আমরা একটি ভালো কাজ করেছি।
তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে আইনত এফিডেভিট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই যারা মরণোত্তর দেহ ও অঙ্গদান করার অঙ্গীকার করেছেন তারা সবাই ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এফিডেভিট করেছেন।
জীবনদীপের সদস্য শেখ মহিউদ্দিন রাসেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সভাপতি ও পিপি অ্যাড. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, জিপি অ্যাড. আব্দুর রহমান, সাবেক সভাপতি সেলিম আকবর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদুল ইসলাম বাবু।

শেয়ার করুন