বিএনপি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজলে উচিৎ জবাব দেয়া হবে : হানিফ

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি পায়ে পাড়া দিয়ে গোলযোগ করতে চায়। তারা সমাবেশের নামে বিভিন্ন জায়গায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ ডেকেছে। তাদের ভাবখানা এমন যেন ১০ তারিখের পর সরকাই থাকবে না। তারাতো বলেই দিয়েছে- ১০ ডিসেম্বরের পর নাকি দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়ার কথা দেশ চলবে। আমরা বলতে চাই- ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস। ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মাস। এ মাস কোন রাজাকার-আলবদরদের হতে পারে না। ডিসেম্বর মাসে ষড়যন্ত্র করতে যদি মাঠে নামেন তাহলে উচিৎ শিক্ষা জনগণ দিয়ে দিবে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় নাকি তারা ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবে। তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তারা সমাবেশ পল্টনে করতে চায়। কিন্তু তাদের জনসমাবেশের সংখ্যা দেখে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সমাবেশের জন্য ভালো হবে। তারা সেখানে সমাবেশ করবেন না। পল্টনেতো ৫০/৬০ হাজারের বেশি লোকের জায়গা হবে না। তারপরও কেন তারা সেখানে করতে চায়। কারণ দুইটি। এক হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত জায়গা। এখানে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষনে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এখানেই ৭১ সালে পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পণ করেছিল। সেই কারণেই তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রাজাকার-আলবদরদের জন্য একটি মনোকষ্টের জায়গা।
তিনি বলেন, তারা ভাবছে নয়াপল্টনে তাদের অফিসের সামনে লোকজন জমায়েত করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে সরকারকে বিব্রত করতে চায়- এটি তাদের আরেকটি লক্ষ্য। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোন ষড়যন্ত্রের পথ খুজলে তার উচিৎ জবাব দেয়া হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে যদি দুর্বল ভাবেন তাহলে ভুল করবেন। ২০১৩, ২০১৪ সালে জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করেছেন। সেই অপকর্মের জন্য যে শাক্তি ভোগ করতে হয়েছে আগামীতে এমন অপরাধের জন্য তার চেয়ে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি আপনাদের হতে হবে। রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্রগ্রাম বিভাগ) আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

শেয়ার করুন