ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখর বড়স্টেশন মোলহেড

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদের ছুটি শেষে সরকারি ও বেসরকারি চাকরীজীবীরা কর্মস্থলে চলে গেলেও ব্যবসায়ী এবং অন্য পেশার লোকজন এখনও পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছুটে আসছেন চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেডে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন এই স্থানটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত করে রাখছে।

ঈদের দিন থেকে শুরু করে গতকাল ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিন নদীর মোহনায় এসেছেন হাজারো দর্শনার্থী। বিভিন্ন যানবাহনে করে আরো দর্শনার্থী আসছেন। এখানকার অস্থায়ী দোকান ও হকারদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
কিছু সময় মোলহেড ঘুরে দেখাগেল, তরুন বয়সী দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশী। অভিভাবকের সাথে এসেছেন শিশুরা। তাদের সংখ্যাও কম নয়। মোলহেডের গাছের নীচে বসে আছেন অনেকে। কারণ সকাল থেকে সূর্যের তাপ বেড়েছে। মোলহেডের উত্তরে মেঘনা নদীতে এবং দক্ষিণে ডাকাতিয়া নদীতে ট্রলার ও স্পীডবোট চালকরা ডাকছেন মেঘনার পশ্চিমে চরে ভ্রমন করার জন্য।
মোলহেডের উত্তর পাশ থেকে দর্শনার্থীদের নিয়ে একাধিক ট্রলার ছেড়ে গেলে মেঘনার পশ্চিম পাড়ে মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত চরে। সেখানে ট্রলারে আসা যাওয়ার বাড়া জনপ্রতি ৫০ করে ১০০টাকা।
ল²ীপুর থেকে বেড়াতে এসেছেন জাবের রহমান ও তার সহপাঠীরা। তারা ঘুরে ঘুরে সেলফি তুলেছেন। কেউ নদীর পাড়ের পাথরে উঠছেন। আবার অনেকেই পাথের সাথে পানিতে নেমেছেন। জাবের বলেন, জায়গাটা অনেক সুন্দর। আগে কখনো আসেনি। বন্ধুদের নিয়ে ভাল সময় কেটেছে। তবে এই স্থানটিকে আরো আকর্ষনীয় করা যেতে পারে।
দর্শনার্থীদের কাছে নিজের ঘরে বানানো কাপ দই বিক্রি করেন জীবন ঘোষ। তিনি বলেন, ঈদের সময় এখানে দর্শনার্থী বাড়ে। যে কারণে দই বিক্রি করতে চলে আসি। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০কাপ দই বিক্রি করি। প্রতি কাপ দই’র দাম ৩০টাকা।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, ঈদের আগে ও পরে আমাদের নিয়মিত টহল দল রয়েছে। চাঁদপুরে যেহেতু ভাল পর্যটন কেন্দ্র নেই। সে কারণে তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেডে মানুষজন চলে আসে। সেখানে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের একটি স্পেশাল টিম সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করেন এবং দুটি টিম টহলে থাকে।

শেয়ার করুন