প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

চাঁদপুরে দুই দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন
: নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ দেশব্যাপী উদযাপন উপলক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুইদিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৭ মার্চ শনিবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে (ভার্চুয়ালি) প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি।


উদ্বোধনী বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাঙালি জাতি আনন্দে আজ উদ্ভাসিত। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এটি সত্যিই গর্বের বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিয়েছে। জনগণের সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এ ধারা চার-পাঁচটি বছর অব্যাহত থাকলে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পরিপূর্ণভাবে পৌঁছব। বিশ্বের মধ্যে যে তিনটি ধনী দেশ, তার তৃতীয় স্থানে আমরা ২০৪১ সালে পৌঁছতে পারব ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি ঠিক রাখতে আমাদের তৃণমূল পর্যাযের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হবে। যেখানে সম্ভব সেখানেই এ গতিকে তরান্বিত করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে সময়ে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে, ঠিক সে সময়েই একশ্রেণীর বিপথগামীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অথচ দেশের উন্নয়নের জন্যে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক পরিবেশ দরকার। আমরা সবাই একযোগে কাজ করলে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।


তিনি বলেন, আমরা স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নত রাষ্টে পা দিয়েছি। এরজন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছি। আর এই আনন্দে ঘিরে আজ আমাদের এই বর্ণাঢ্য আয়োজন। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমার খুবই ইচ্ছা ছিলো। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকায় আসা সম্ভব হয়নি। যার কারণে আমি উপস্থিত জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধ সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার সুযোগ্যপুত্র তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজিদ জয় তাদের কল্যাণে আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরী হওয়ার কারণে আমি আজ ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেয়ার সুযোগ হয়েছে। সে জন্য আমি সত্যই আনন্দিত ও গর্বিত। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী চলছে। আজকের এই অনুষ্ঠানে আমি ’৭১, ’৭৫সহ সকল শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি। বিশেষ করে আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন তাদেরকেও সম্মান জানাই। তাদের কল্যাণই আজকের বাংলাদেশ অগ্রযাত্রা। তাদেরকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। অব্যশই তারা এসব উন্নয়ন দেখতে আসবেন এবং তারাও গর্ববোধ করবেন।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অনঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. অসিত বরণ দাশ, চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউএর প্রধান মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিছুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা ও পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার প্রমূখ।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমরা সত্যি ভাগ্যবান। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার স্বপ্ন ছিল আমার দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। সে ধারাবাহিকতায় আজ দেশ উন্নয়নশীল হয়েছে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ফিতা কেটে, বেলুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের ইলিশ চত্বর হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে একই স্থানে এশে শেষ হয়। র‌্যালীতে নেতৃত্বে দেন জেলা প্রাশসকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পরে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ মেলায় স্থান পাওয়া সরকারি বিভিন্ন দপরের স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) অসীম চন্দ্র বণিক, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান হোসাইন সজিব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান মানিক, ইমরান মাহমুদ ডালিম, মো. উজ্জল হোসাইন, মঞ্জুরুল মোর্শেদ প্রমূখ।
দুইদিনব্যাপী মেলার প্রথম দিনে উদ্বোধন পর্বে শেষে কুইজ প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এসব অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণ করেন দায়িত্বরত কর্মকর্তাবৃন্দ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply