সিনিয়র সচিব হলেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী

চাঁদপুর প্রতিদিন ডেস্ক :

সিনিয়র সচিব হলেন চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের কৃতি সন্তান ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী সিনিয়র সচিব হলেন। ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে যোগদান করার পর সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২ মে তিনি পূর্ণাঙ্গ সচিব হিসেবে পদায়ন হন। এর আগে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় জাদুঘরে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের বড় পাটওয়ারী বাড়ির বদিউজ্জামান পাটওয়ারী ও আশরাফুন নেছার সুযোগ্য সন্তান মো:মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর জন্ম ১৯৬২ সালের ১ জানুয়ারি। তিনি চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। পরে উচ্চশিক্ষা শেষে১৯৮৮ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন তিনি।

ভূমি সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে তিনি উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের মাঠ প্রশাসনের কার্যক্রম আরও গণমুখী, সেবাধর্মী, গতিশীল, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর করণার্থে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের জন্য ৫৭টি পরিপত্র জারি করেন।

দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে গতিশীল, দূরদর্শী, জনমুখী এবং সেবামুখী নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয়কে Top-৫ এবং সর্বোচ্চ Top-১০ মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে প্রতিষ্ঠায় বিশেষভাবে কাজ করেন। ই-নামজারি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ব জুড়ে সরকারি খাতে গৃহীত সর্বোত্তম উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম অতি মর্যাদাপূর্ণ
‘United Public Service Award-2020’ অর্জন করে ভূমি মন্ত্রনালয়।

৪৮৫টি উপজেলা এবং ৩,৬১৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি বাস্তবায়নের কারণে জুলাই/১৯ হতে অক্টোবর/২০ পর্যন্ত মেয়াদে সারাদেশে অনলাইনে ই-নামজারির আবেদন প্রাপ্তি ২৯,৫৫,৭২৮টি। তন্মধ্যে নিষ্পত্তি ২৪,৮১,৪৬৭টি এবং অন্যান্য আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া সাধারণভাবে ২৮দিন, প্রবাসীদের জন্য মহানগর এলাকায় ০৯ এবং অন্যান্য এলাকায় ১২ কার্যদিবসের মধ্যে ই-নামজারি নির্দেশনা দেন। ভূমি সংশ্লিষ্ট সকল সেবা “হাতের মুঠোয় ভূমি সেবা” নামে মোবাইল সার্ভিসে রূপান্তরকরনে নিরলস ভাবে কাজ করেন তিনি।

এছাড়াও দুর্নীতির বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স নীতি” হিসাবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রায় ১৮,০০০ হাজার কর্মকর্তা/কর্মচারীর সম্পদের হিসাব দিতে বাধ্য করেন তিনি।

তার তড়িত পদক্ষেপের কারণে জুলাই/১৯ হতে অক্টোবর/২০ পর্যন্ত মেয়াদে সারাদেশে অনলাইনে ই-নামজারির আবেদন প্রাপ্তি ২৯,৫৫,৭২৮টি। তন্মধ্যে নিষ্পত্তি ২৪,৮১,৪৬৭টি এবং অন্যান্য আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সাধারণভাবে ২৮দিন, প্রবাসীদের জন্য মহানগর এলাকায় ০৯ এবং অন্যান্য এলাকায় ১২ কার্যদিবসের মধ্যে ই-নামজারি বাস্তবায়ন করেন তিনি।

Ease of doing business -এর জন্য নামজারি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বাস্তবায়নে তিনি পথিকৃত। এছাড়া সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নামজারি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নিদের্শনা দেন তিনি। “ই-নামজারি অ্যাপ” নামে ই-নামজারির পদ্ধতি প্রকাশে তিনি উদ্যোগি হন।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রায় তিন যুগ পূর্ব হতে আরম্ভকৃত জরিপের অধিকাংশ সম্পন্নকরণ এবং আগামি জুন ২০২১- এর মধ্যে শতভাগ সম্পন করতে তিনি অঙ্গিকারবদ্ধ।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল সেবা অনলাইনভিত্তিক করার লক্ষ্যে ডাটাবেইজড তৈরি এবং Inter operable করার জন্য অনুমোদিত “ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প” বাস্তবায়ন করেন তিনি। নির্ভুল, দ্রুত ও কার্যকর জরিপ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অনুমোদিত ডিজিটাল পদ্ধতিতে জরিপ প্রকল্প বাস্তবায়নে মৌজা ও প্লটভিত্তিক ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিং প্রকল্পের কাজ চলছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply