সেলিম খানের বিরুদ্ধে আজ থেকে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সিদ্ধান্ত ও আদেশ বুধবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছে। গত ২১ মার্চ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে চাঁদপুরের মেঘনা ও পদ্মার ৭০ কিলোমিটারেরও বেশি অন্চল থেকে অবৈধভাবে কয়েকশ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন অবৈধভাবে বালু বিক্রি, অবৈধ বাল্কহেড এবং বালু উত্তোলনে জাতীয় সম্পদ ইলিশের চরম ক্ষতিসহ নানা বিষয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের অভিমত অভিযোগ উপস্থাপন করেন।
নদী বিশেষজ্ঞরা বলেন, সেলিম খান হাইকোর্ট থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলনের পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করেন । অথচ তার ব্যবসার অনুমতি ছিল না। ফলে তিনি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করায় তিনি দোষী। তার বিরুদ্ধে এ কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তাব করেন তারা।
জানা গেছে, সবার সুনির্দিষ্ট বক্তব্য ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার নদী রক্ষা কমিশন থেকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত জারি করা হয়‌। এরমধ্যে রয়েছে- চাঁদপুরে মেঘনা ও পদ্মা নদীর অববাহিকায় বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে বছরের পর বছর ধরে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যবসা চলছে। ড্রেজার ও বালু পরিবহনে নৌযানের লাইসেন্স ফিটনেস পরীক্ষা করে আইন অমান্যকারী, চোরাই বালুবহন করা নৌযান এবং হাইকোর্টের আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানাসহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। হাইকোর্টের রায়ে বালু উত্তোলনের জন্য যে মৌজা বা এলাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তার বাইরে থেকে বালু উত্তোলন করা হলে মোবাইল কোর্ট, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে সেই আর্থিক ক্ষতির মূল্য নির্ধারণ করে আগামী ১৪ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে। এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অন্জনা খান মজলিশ জানান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের গত ২১ মার্চের সভার রেজুলেশনের সিদ্ধান্ত পেয়ে আমি নৌ পুলিশ, কোষ্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং এর সাথে জড়িত সকল সংশ্লিষ্টকে বুধবার রাতের মধ্যেই পৌছে দিয়েছি। আজ সকাল থেকেই আমাদের অভিযান শুরু হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply